মগবাজারের মেস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাতার মরদেহ উদ্ধার

| বৃহস্পতিবার , ৯ মে, ২০২৪ at ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর মগবাজারের একটি মেসবাড়ি থেকে ঘরের দরজা ভেঙে এক চলচ্চিত্র পরিচালকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাতিরঝিল থানার এসআই মো. এনামুল হক জানান, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মগবাজারের দিলু রোডের একটি মেস থেকে ৫৫ বছর বয়সী এম এ আউয়ালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অবিবাহিত আউয়ালের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। ঢাকায় তিনি দিলু রোডের পাঁচতলা ওই ভবনের মেসে থাকতেন। খবর বিডিনিউজের।

এসআই এনামুল বলেন, মেসের লোকজন রাতে অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করেও তার (পরিচালক আউয়াল) কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিল না। শেষে তারা আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা গিয়ে দরজা ভেঙে দেখতে পাই তিনি মৃত অবস্থায় বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে আছেন।

এসআই এনামুল হক বলেছেন, স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তারা জেনেছেন, আউয়াল দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতাজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আউয়ালের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে বলে পুলিশের এই সদস্য জানান। নির্মতা আউয়াল ‘রাজপথের বাদশা’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তার সহকর্মী ও পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, আউয়াল ভাই খুব বিনয়ী ও ভদ্র মানুষ ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থও ছিলেন। ওই মেসে তিনি একা থাকতেন। আমার ধারণা, রোগ শোক এ দুটোই উনাকে গ্রাস করেছিল। গত পরশু উনার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। কুশল বিনিময় করে চলে এলাম। এখন সকালে মৃত্যুর খবর পেয়ে খুবই কষ্ট পেয়েছি।

আউয়াল আগে প্রযোজক ও পরিচালক মাসুম পারভেজ রুবেলের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানান হাবিব। পরে ‘রাজপথের বাদশা’, ‘কাছের শত্রু’সহ কয়েকটি সিনেমা নিজেই পরিচালনা করেন। হাবিব বলেন, উনার ভালো সম্পর্ক ছিল বিখ্যাত আলোকচিত্রী মাহফুজুর রহমান খানের সঙ্গে। মাহফুজুর ভাই মারা যাওয়ার পর উনি আরও একা হয়ে যান।

মরদেহ কোথায় নেওয়া হবে জানতে চাইলে হাবিব বলেন, পরিচালক সমিতি থেকে উনার পরিবারের সদস্য কারা আছে সেই খোঁজ খবর নিচ্ছে। সমিতি থেকেই চেষ্টা করছে যতটুকু দায়িত্ব পালন করা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানবিকতার প্রসারে যুব কার্যক্রম বেগবান করতে হবে : মেয়র
পরবর্তী নিবন্ধকী কারণে বিয়ের ছবি মুছলেন রণবীর?