দেশের সাধারণ মানুষ অর্থের তাগিদে পাড়ি জমায় ভিনদেশে। প্রবাসীর কষ্টার্জিত অর্থে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা অনন্য। সাধারণত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেই প্রবাস জীবনে পাড়ি দিয়ে থাকে, ফুল ফোটার মতো সুন্দর জীবন গড়ার লক্ষ্যে। কিন্তু দুর্নীতি যেন পিছু ছাড়ছে না। দুর্নীতিটা শুরু হয় মূলত পাসপোর্ট অফিস থেকে। যেখানে ১০বছর মেয়াদী পাসপোর্ট রেগুলার ডেলিভারিতে সরকার নির্ধারিত ফি রেখেছে ৫ হাজার ৭০০ শ ৫০ টাকা কিন্তু এখানে ব্যয় বহন করতে হয় ৮ হাজার ৫০০ থেকে ১০হাজার পর্যন্ত। কে বা কারা জনগণের রক্ত চুষে খাচ্ছে তা আমরা সকলেই মোটামুটি জানি। কিন্তু আমরা স্বাধীন রাষ্ট্রে ব্যক্তি জীবনে পরাধীন।
সাধারণত আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ যে পদ্ধতিতে বিদেশে পাড়ি দেয়। তা হলো দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে। ব্যাংক ঋণ, জায়গা বিক্রি, আত্মীয়স্বজনের থেকে ধার নিয়ে দালাল কিংবা এজেন্সির হাতে মোটা অংকের টাকাটা তুলে দেয়। অতঃপর ফ্লাইটের পূর্বে বিদেশি কোম্পানির চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়। যেখানে উল্লেখ থাকে বেতন, ডিউটি টাইম, কর্মস্থল। চুক্তি পত্রে দালাল বা এজেন্সির কথা–কাজে মিল না থাকা সত্ত্বেও যেতে হয়। পিছপা হওয়ার সুযোগ নেই। মাথায় ঠেকেছে ঋণের বোঝা। টাকাগুলো ফেরত পাওয়ার কোনো উপায় নেই। কোনোমতে ঋণ পরিশোধ করে দেশে ফিরে সেই বেকারত্ব গ্লানি টানতে হয়। লাগাম টানা হোক দুর্ভোগের।
মাহমুদ নাঈম
খিলপাড়া, কিশোরগঞ্জ।