ভোটে হারেননি, কিন্তু করোনার কাছে হেরে গেলেন কাউন্সিলর মিন্টু

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৯ মার্চ, ২০২১ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নির্বাচনের আলোচনায় ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস গতকাল প্যানেল মেয়র নির্বাচনের দিনই না ফেরার দেশে চলে গেলেন অজাতশত্রু হিসেবে পরিচিত চকবাজার ওয়ার্ডের ৭ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু (৬৯)। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৫টায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলেসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চট্টগ্রাম পৌরসভার কমিশনার থেকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর- সাতবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তিনি। জীবনে কোনোদিন ভোটে হারেননি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনার কাছে হেরে যেতে হল তাকে। গতকাল দুপুরে ঢাকা থেকে তার মরদেহ চকবাজার জয়নগরের বাড়িতে আনা হলে তাকে শেষ দেখা দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। পরে বাদে এশা প্যারেড কর্নারে নামাজে জানাযা শেষে মিছকিন শাহ (র.) মাজারস্থ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সত্তরের দশকে ভাসানীপন্থী বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা মিন্টু ১৯৭৭ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম পৌরসভার কমিশনার ছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে টানা ছয়টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি কাউন্সিলর পদে জিতেছেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। সর্বশেষ তিনি চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন।
চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন আজাদীকে জানান, চসিক নির্বাচনের আগে সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টুর মস্তিষ্কে অপারেশন করা হয়েছিল। অনেকটা অসুস্থ অবস্থায় তিনি নির্বাচন করেছিলেন। তারপরও বিপুল ভোটে তিনি জয়লাভ করেছেন। গত ১৩ মার্চ শারীরিক নানা জটিলতায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান।
জানা গেছে, কাউন্সিলর গোলাম হায়দার মিন্টু করোনা পজেটিভ ছিলেন। কিছুদিন পর নেগেটিভ আসে। কিন্তু ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
শোক : কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সাবেক এমপি মজহারুল হক চৌধুরী, চসিক কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, এঙ কাউন্সিলর ফোরামের পক্ষে সভাপতি জালাল উদ্দিন ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন, ক্যান্সার সারভাইভার্স ফোরামের সভাপতি সাফিয়া বেগম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আওরঙ্গজেব, মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাসেম খান, মো. নজরুল ইসলাম সুমন, মোহাম্মদ ফারুক চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন প্রমুখ গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভুলটা কার?
পরবর্তী নিবন্ধটিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু