ভোজ্য তেল আমদানিতে ভ্যাট ছাড় রোজা পর্যন্ত বাড়ল

| বুধবার , ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

রোজার কথা মাথায় রেখে ভোজ্য তেল আমদানিতে ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা আগামী এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল এই সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। এর ফলে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে ভোজ্য তেল আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। খবর বিডিনিউজের।
ভোজ্য তেলের (সয়াবিন ও পাম) উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং বিপণন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ সুবিধাও একই সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ভোজ্য তেল আমদানিতে নিয়মিত ভ্যাট হচ্ছে ১৫ শতাংশ। ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ব বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে দামে লাগাম টানতে গত বছরের মার্চে ভ্যাট ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

সয়াবিন ও পাম তেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ সুবিধাও একই সঙ্গে দেওয়া হয়। প্রথমবার তিন মাসের জন্য সুবিধা দেওয়া হয়। পরে তা একাধিক বার বাড়িয়ে ৩১ ডিসম্বের পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এর মধ্যে আগামী রমজানে ভোজ্য তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছিল। সেই দাবিতে সমর্থন জানিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও।

এরপর গতকাল এনবিআর এই সুবিধার মেয়াদ চার মাস বাড়ানোর পরিপত্র জারি করে বলছে, নতুন মেয়াদের সুবিধা ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর গত বছরজুড়েই দেশে অস্থির ছিল ভোজ্য তেলের বাজার।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেওয়া ঢাকা মহানগরীর বাজার দরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল প্রতি লিটার সয়াবিন তেল (খোলা) বিক্রি হয়েছে ১৬৭ থেকে ১৮০ টাকায়, আর বোতলজাত প্রতি লিটার ১৮৭ থেকে ১৯০ টাকায়। পাম তেল প্রতি লিটার (খোলা) বিক্রি হয়েছে ১১৭ থেকে ১২৫ টাকায়। পাম তেল সুপার বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে। বর্তমানে দেশে প্রতি বছর ২০ লাখ টন ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ টন স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করতে হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথম বিভাগ হকি লিগের সমাপনী আজ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের দাবাড়ুদের প্রশিক্ষণ দিবেন গ্র্যান্ড মাস্টার রাজীব