ভূমিকম্প পরবর্তী ব্যর্থতায় নড়বড়ে এরদোয়ানের মসনদ

| রবিবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ আর হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্কজুড়ে এখন এত বড় ট্র্যাজেডি কি এড়ানো যেত না, জীবন বাঁচাতে প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ানের সরকার আরও কিছু করতে পারত কিনা, এমন সব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। দৃষ্টিসীমার মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন, অথচ ভূমিকম্প পরবর্তী ব্যর্থতা ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানের ভাগ্যকে চরম ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে, জাতীয় ঐক্যের জন্য তার আকুতিও মাঠে মারা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ভূমিকম্প পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় ঘাটতির বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট, তবে দুর্গত এক অঞ্চল সফরে গিয়ে ভাগ্যকেও দোষারোপ করেছেন তিনি। এরকম ঘটনা সবসময়ই ঘটছে। এগুলো নিয়তির পরিকল্পনার অংশ, বলেছেন এরদোয়ান। টেকটোনিক প্লেটের ফল্টস বা চ্যুতিগুলোতে চাপ সৃষ্টি হলে সেগুলো হঠাৎ নড়েচড়ে উঠে ভূমিকম্পের কারণ হয়। খবর বিডিনিউজের।

তুরস্ক এরকম দুটি ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থিত, দেশটিতে ভূমিকম্পনিরোধী ভবন নির্মাণ বিধিমালাও ৮০ বছরের পুরনো। কিন্তু গত সোমবারের জোড়া ভূমিকম্পের ধাক্কা এত তীব্র ছিল যে, ১৯৩৯ সালের পর তুরস্ক আর কখনোই এমনটা দেখেনি। এর মধ্যে প্রথমটা হয়েছে স্থানীয় সময় ভোররাত ৪টা ১৭তে, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার, কয়েক ডজন মাইল দূরে হওয়া পরেরটার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। এই দুই ভূমিকম্পের পর তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টিতে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান চালানো দরকার হয়ে পড়েছিল। কিন্তু অভিযানে নামতে নামতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়, কিছু কিছু গ্রামে উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে কয়েকদিন লেগে যায়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পেশাদার ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ৩০ হাজারের বেশি উদ্ধারকর্মী মাঠে নামে, বিভিন্ন দেশের পাঠানো দলও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদায় বন্ধু মোছলেম উদ্দিন
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনের গ্রিডে হামলা, রাশিয়া এগুচ্ছে উত্তরাঞ্চলেও