ভিড় এখন জুয়েলারি প্রসাধনীর দোকানে

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

ঈদ বাজারে পোশাক কেনাকাটা শেষে তরুণীরা এখন ভিড় করছেন জুয়েলারিপ্রসাধনীর দোকান ও শোরুমে। বিভিন্ন বয়সী নারীরা পোশাকের সাথে মানানসই গহনা খুঁজতে এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তরুণরা ভিড় করছেন পাঞ্জাবীর দোকানগুলোতে। অনেক মার্কেটে শেষ মুহূর্তে ছাড়মূল্যে পাঞ্জাবী বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চশমা ও ঘড়ির দোকানেও রয়েছে ভিড়।

গতকাল নগরীর নিউমার্কেট বিপণী বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, টেরি বাজার, চকবাজারের মতি টাওয়ার, কেয়ারি, বালি আর্কেড, ২ নম্বর গেট শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, স্যানমার ওশান সিটি, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, পোশাকের দোকানগুলোর তুলনায় বিভিন্ন জুয়েলারি ও প্রসাধনীর দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। নগরীর মিমি সুপার মার্কেটে কথা হয় লালখান বাজার এলাকার বাসিন্দা ফৌজিয়া সুলতানার সাথে। তিনি বলেন, জামা কাপড়ের কেনাকাটা শেষ করেছি। তাই এখন জামার সাথে ম্যাচিং করে গহনা এবং কানের দুল কিনতে এসেছি। বিক্রেতারা দাম নিচ্ছেন খুব বেশি। মিমি সুপার মার্কেটে প্রসাধনী বিক্রেতা আজগর আলী বলেন, প্রতি বছরের মতো আমরা রকমারি ডিজাইনের চুড়ি, কানের দুল, নেকলেস, ব্রেসলেটের ব্যাপক সংগ্রহ নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত বেচাবিক্রি গত বছরের তুলনায় কম। তবে গত কয়েকদিন ধরে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।

বিভিন্ন প্রসাধনীর দোকানগুলোতে রয়েছে তরুণীদের ভিড়। তারা লিপস্টিক, মেকআপ বঙ, নেইল পলিশ, আলতাসহ নানা ধরনের প্রসাধনী কিনছেন। সাজগোজ ছাড়া যেন তরুণীদের ঈদ আনন্দ অপূর্ণই থেকে যায়। নিউমার্কেট বিপণী বিতানে আসা ক্রেতা আরিফা জাহান জানান, কেনাকাটা সব শেষ। এখন কেবল কিছু কসমেটিকস কেনা বাকি। তাই মার্কেটে এলাম।

এদিকে পাঞ্জাবীর শো রুমে দেখা গেছে তরুণদের উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন শপিং সেন্টারের শো রুমে ছাড়মূল্যে পাঞ্জাবী বিক্রি করা হচ্ছে। স্যানমার ওশ্যান সিটিতে আসা ক্রেতা ইরফান আহমেদ বলেন, ঈদের বাকি আছে আর ৩৪ দিন, সময় নেই। তাই বন্ধুদের সাথে পাঞ্জাবী কিনতে এসেছি। কারণ শেষদিকে ব্যবসায়ীরা ছাড়মূল্যে পাঞ্জাবী বিক্রি করে থাকে। সে কারণে মূলত এতদিন অপেক্ষা করেছি।

জানতে চাইলে তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদের সময় একদম সন্নিকটে। নারী ক্রেতারা তাই এখন জুয়েলারি ও কসমেটিকস পণ্য কেনার জন্য ভিড় করছেন। এখন পর্যন্ত বেচাবিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে।

স্যানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার বলেন, গত বছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত আমাদের মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। এটি হয়েছে, কারণ আমাদের ব্যবসায়ীরা ভালো মানের পণ্য নিয়ে এসেছে। অনেক মার্কেটে ঈদ উপলক্ষে বেশি টাকায় পণ্য বিক্রি করে। আমাদের এখানে এটি কখনো হয় না। যার কারণে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ঈদ কেনাকাটা, জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিকাশ পেমেন্ট
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়া শেখ রাসেল পার্কে ঈদেও চলবে না ক্যাবলকার