ভিকটিমকে জেরায় লাগবে আদালতের অনুমতি

| মঙ্গলবার , ২৬ জুলাই, ২০২২ at ৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ভিকটিমকে প্রশ্ন বা জেরা করতে আদালতের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে সাক্ষ্য আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২’ এর অনুমোদন দেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, গত ১৪ মার্চ মন্ত্রিসভায় আইনটি তোলা হয়। তখন এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের দুটি ধারায় ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মামলায় বাদীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার যে সুযোগ রয়েছে, সংশোধনে সেখানে পরিবর্তন আসছে বলে জানান তিনি।
সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যখন বলাৎকার কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারিনী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা। আর ১৪৬ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, তাহার চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাস যোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও এ রূপ প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অপরাধের সহিত জড়িত হতে পারে, কিংবা সে দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারে, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহার দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তথাপি অনুরূপ প্রশ্ন করা যাবে।
মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীরা দীর্ঘ দিন ধরে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই ঔপনিবেশিক আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
আইন সংশোধনে তাতে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কারো চারিত্রিক বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে গেলে আদালতের কাছ থেকে পারমিশন নিতে হবে। আদালত যদি মনে করে, কারণ সবক্ষেত্রে যদি আউটলাইন করে না দেওয়া হয়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে খারাপ লোকজনও থাকতে পারে, যে ট্র্যাপ করে করে ভালো একজন লোককে ট্র্যাপে ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই জিনিসগুলোর প্রয়োজন আছে। সেক্ষেত্রে আদালত বিবেচনা করবেন, চারিত্রিক বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে কি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬ কোটি টাকার ব্র্যাকিথেরাপি মেশিন দুই মাস ধরে অচল
পরবর্তী নিবন্ধআন্তঃব্যাংক বাজারকে আরও সচলের পরামর্শ প্রধান নির্বাহীদের