ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’- রক্তে রাঙানো ভাষা আন্দোলনের মাস শুরু হয়েছে। এই অমিয় বাণী বায়ান্নর রক্তমাখা সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়। মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য সেদিন যারা শোষকদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে অকাতরে প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের মনে করিয়ে দেয়। এ মাস ত্যাগ ও অধিকার আদায়ের মাস। এ মাস একদিকে শোকাবহ, অন্যদিকে আছে এর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কারণ আমরাই পৃথিবীর একমাত্র বাঙালি জাতি, যারা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন দিয়েছিল। বাঙালি জাতি ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের স্মরণ করবে।
ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। পাকিস্তানি প্রভুরা পূর্ববাংলার সাংস্কৃতিক অবদমন ঘটাতে চেয়েছিল। তারই প্রতিক্রিয়া ও বিস্ফোরণরূপে ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। কিন্তু এই সাংস্কৃতিক অবদমনের পেছনে মূল অভিসন্ধি ছিল অর্থনৈতিক শোষণ ও রাজনৈতিক আধিপত্যবাদ। ভাষা আন্দোলনের এ লড়াই থেকে শুরু হয়েছিল জাগ্রত জনতার বিরামহীন সংগ্রামের। রফিক, শফিক, জব্বারসহ অসংখ্য শহিদের বুকের তাজা রক্তে ঝরা এ মাস আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মাস।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরে ৯ মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
ফেব্রুয়ারিতে ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ। এটি জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন। যার ফলাফল ১৯৭১ সালে ৯ মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ
পরবর্তী নিবন্ধদিন দিন সহিংস হচ্ছে পরিবেশ