ভালো কাজে যেমন পুরস্কার তেমনি খারাপ কাজে শাস্তিও হবে

কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী

| বুধবার , ২৮ জুলাই, ২০২১ at ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ

ভালো কাজ করলে যেমন পুরস্কার পাওয়া যাবে, ঠিক তেমনি খারাপ কাজের জন্যও কঠোর শাস্তি পেতে হবে বলে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ এর উদ্বোধন এবং ২০২০ ও ২০২১ সালের জনপ্রশাসন পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। মাঠ পর্যায়ে কাজ করলে আপনারা অনেক বেশি জানার সুযোগ পান, মানুষের সুবিধা-অসুবিধাগুলো জানতে পারেন। কীভাবে একেকটা এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা যায়, সেটা আপনারা সব থেকে ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারেন। এবং আমি আশা করি, সেভাবেই আপনারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কীভাবে নেওয়া যায়, কীভাবে মানুষের সেবা করা যায়, কীভাবে মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া যায় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন, আমরা যাতে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি, সেটাই আমরা চাই। খবর বিডিনিউজের।
জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ৩৫ কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানকে এ অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০২০ সালের জন্য জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৫টি এবং ২০২১ সালের জন্য ২০টি পদক দেওয়া হয় এ অনুষ্ঠানে। মহামারীর কারণে ২০২০ সালে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ অনুষ্ঠানে তাই দুই বছরের পদক একসঙ্গে দেওয়া হলো।
জাতীয় পর্যায়ে তিন ক্যাটাগরির পুরস্কারপ্রাপ্তরা ১৮ ক্যারেট মানের এক ভরি ওজনের স্বর্ণপদক এবং সনদ পেয়েছেন। এর বাইরে জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তি শ্রেণিতে জনপ্রতি এক লাখ টাকা এবং দলগত ভূমিকার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এইটুকু বলব, ভালো কাজের আপনি যেমন পুরস্কার পাবেন, আবার কেউ যদি কোনো খারাপ কিছু করে, তাদের কিন্তু ক্ষমা নেই। তাদেরও কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এই শৃক্সখলাটা থাকতে হবে, এই নিয়মটা থাকতে হবে। সেটাও অবশ্যই আমরা করব।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে অনুষ্ঠানে তার মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বলেছিলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে, তারা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তারা জনগণের ভাই, জনগণের সন্তান। তাদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে জাতির পিতা সরকারি কর্মচারীদের অনুশাসন দিয়ে বলেছিলেন, তাদের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে যে তারা ‘শাসক নন, সেবক’।
মহামারীর এই সময়ে বাজেট দেওয়া কঠিন ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সেই বাজেট যেন ভালোভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যেন মান ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করা যায়, আর যত্রতত্র যেখানে সেখানে শুধুমাত্র একটা কিছু নির্মাণের জন্য নির্মাণ যেন না হয়, যেটা আদতে প্রয়োজন দেশের জন্য, মানুষের জন্য, সেই রকমই যেন আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পটা হয়, পরিকল্পনাটা হয়।
জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যাপকভাবে করোনার টিকা দেওয়ার ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কিনতে যত টাকাই লাগুক না কেন, সেটা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরি করব, যাতে বাংলাদেশের মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়। সেটাই আমরা করব।
ইতোমধ্যে দেশের ১ কোটি ৮৭ লাখ মানুষের টিকা পাওয়ার তথ্য দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ, টিকা পাওয়ার যাদের বয়স হয়েছে, তারা কেউ বাদ যাবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্বর নেই, ভালো আছেন খালেদা জিয়া
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার ও বান্দরবানে শত শত গ্রাম প্লাবিত