সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে ভারত থেকে প্রবেশ করা টেকনাফের চাকমারকুল ২১নং ক্যাম্পে একই পরিবারের সাতজন এবং সকাল সাড়ে ৮টার সময় টেকনাফ আলীখালি ২৫নং ক্যাম্পে দুইজনসহ মোট ৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ সদস্যরা।
টেকনাফ ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার ক্যাম্প নিরীক্ষণে জানা যায় ভারতের জম্মু কাশ্মীর রিফিউজি ক্যাম্প হতে রোহিঙ্গা গুল বাহার (৬০), আবু তাহের (২৭), হামিদা বেগম (২৪), আবুল মনসুর (২১), ইয়াছমিন (১৮), খুশিদা (০৩), আয়েশাসহ একই পরিবারের সাত জন চাকমারকুল ক্যাম্পে প্রবেশ করে। তারা জানায়, দালালের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে এসে ক্যাম্পের ব্লক-ই/১ এ গোপনে প্রবেশ করে রোহিঙ্গা গুল বাহারের ছেলে আবুল কাশেম (২৫) এর ঘরে আশ্রয় নেয়।
অপরদিকে, রোহিঙ্গা সাইদুল ইসলামের ছেলে মো. জামাল (৬৫) তার স্ত্রী নূর জাহান (৬০) ভারতের জম্মু কাশ্মীর হতে দালালের মাধ্যমে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে গোপনে টেকনাফ আলীখালী ক্যাম্পে ব্লক-ডি/২০ এ বসবাসরত তাদের মেয়ে গুল মরিজানের (৪০) ঘরে বসবাস করে আসছে। তারা ক্যাম্প-২৩ (শামলাপুর) হতে ২০১৮ সালে ভারতের জম্মু কাশ্মীরের শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়ে সেখানে চার বছর বসবাস করে। পরে দালালের মাধ্যমে ফের বাংলাদেশে চলে আসে তারা।
১৬ এপিবিএন অধিনায়ক জানান, পরবর্তীতে সিআইসির নির্দেশনায় আটক রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্ট মাঝির মাধ্যমে উখিয়া কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে ভারত থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ভারত সরকারকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ভারত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না।