ভলগেটে পণ্য পরিবহন করা যাবে না

বন্দরের সভায় সিদ্ধান্ত

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে বাল্কহেড বা ভলগেট চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র বন্দর চ্যানেলের পলি অপসারনে নিয়োজিত ভলগেটগুলো চলাচল করতে পারবে। গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সূত্রগুলো বলেছে, কোন নেভাল আর্কিটেক্টচারাল ডিজাইন ছাড়াই বাল্কহেড তৈরি হয়। বিশেষ ধরনের মিস্ত্রি ও ওয়েল্ডারদের মাধ্যমে এসব নৌযান তৈরি করা হয়। বড় আকৃতির নৌকার মতো বাল্কহেড দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বল্প দূরত্বে বালি পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। লাইটারেজ জাহাজ বা যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে এমন রুটে ভলগেট চলাচল নিষিদ্ধ। দেশের কোথাও ভলগেটের বে ক্রসিংয়ের অনুমোদন নেই। বন্দর চ্যানেলে ভলগেট চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বহির্নোঙরে দীর্ঘদিন ধরে দুই শতাধিক ভলগেট চলাচল করছে। এসব ভলগেট বন্দর চ্যানেলেও মালামাল পরিবহন করে। অভিযোগ করা হয়েছে, এক শ্রেণির আমদানিকারকের পক্ষে এজেন্ট কিংবা পণ্য খালাসের দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধিরা গোপনে লাইটার জাহাজের বিকল্প হিসেবে ভলগেট ব্যবহার করছেন। টনপ্রতি একশ টাকা ভাড়া বাঁচানোর জন্য ভলগেট ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে প্রতি টন পণ্য লাইটারেজ জাহাজে পরিবহন করতে ভাড়া আদায় করা হয় ৫৪৮ টাকা। ভলগেটে প্রতি টন পণ্য ৪৫০ টাকায় পরিবহন করা যায়। ভলগেটের মাধ্যমে বহির্নোঙর থেকে পাথর ও কয়লা পরিবহন করা হয়। এক্ষেত্রে মিথ্যা ঘোষণা এবং ঘোষণা বহির্ভূতভাবে আনা পণ্য পরিবাহিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। বিদেশ থেকে মাদার ভ্যাসেলে বাড়তি পণ্য নিয়ে এসে কোনো ধরনের শুল্ক পরিশোধ না করে অবৈধ ভলগেটে তুলে দিয়ে পার করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য কাস্টমস এবং পণ্য খালাসে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো এসব অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙর এবং বন্দর চ্যানেলে দুই শতাধিক ভলগেট চলাচলের কথা তারা স্বীকার করেছেন। বছরের পর বছর চলা এসব নৌযান চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙর এবং বন্দর চ্যানেলকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে বলেও তারা স্বীকার করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক ভলগেটের চলাচল নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ভলগেটে আর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। শুধুমাত্র বন্দরের পলি ও বালি অপসারণে নিয়োজিত ভলগেটগুলো চলাচল করতে পারবে। তবে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। দিন কয়েকের মধ্যে এ ব্যাপারে আরো একটি বৈঠক অনুষ্ঠানেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বন্দরসচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবুল হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নতুন প্রস্তাব তুলছে বাংলাদেশ