নির্বাচন কমিশনের সংলাপের চিঠিকে বিএনপিকে ভোটে নিতে নতুন কৌশল হিসেবে দেখছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এবার কোনো ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় ইসির চিঠির প্রসঙ্গ ধরে ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন চিঠি–টিঠি দিয়ে অযথা কেন আপনারা হয়রান হচ্ছেন। আপনারা ভদ্র লোকের মতো থাকতেন, ভদ্র লোকের মতো থাকেন, বেতন–টেতন নেন।
ইভিএম দিতে চেয়েছিলেন ইভিএম দিতে পারছেন না। আরও অন্যান্য কী আছে না আছে। অতীতে নির্বাচন কমিশন ছিল, তারা শুধু ট্রেনিং বাবদ কোটি কোটি টাকা খেয়ে ফেলেছেন। আপনারা এই রকম কিছু আছে কিনা সেগুলো দেখেন। অযথা জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপনারা এই সমস্ত কথা বলে নিজেকে খাটো করবেন না। খবর বিডিনিউজের। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসা বিএনপি কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির সঙ্গে কোনো আলোচনায়ই যায়নি। দলটিতে আলোচনায় পেতে বৃহস্পতিবার সিইসি নতুন একটি চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠির প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, অতীতে কেউ ভোট দিতে পারছেন? আবার ওই কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এবার একটু চাপাচাপি বেশি, পড়শিরা বলছে যে আগের মতো ভোট আর চলবে না। জাপানের রাষ্ট্রদূত তো বলেই ফেললেন যে, বাপের জন্মে শুনিনি যে, আগের রাত্রে ভোট হয়। ওইজন্য এখন আবার নতুন নতুন কৌশল। তার মধ্যে নতুন লেটেস্ট কৌশল হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আমাদেরকে চিঠি দেওয়া।
ইসির এই আহ্বানে বিএনপি যাবে কি না, সে বিষয়ে এখনই শেষ বলছেন না ফখরুল। তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমি এখনই কথা বলতে চাই না। আমাদের সোমবার স্ট্যান্ডিং কমিটির (জাতীয় স্থায়ী কমিটি) মিটিং আছে, সেই মিটিংয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা যে নেই, তাও জানিয়ে দেন ফখরুল। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা আছে নাকি? সে পারবে এই প্রশাসনকে সোজা করতে, পারবে সে ভোট… আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।