বয়স নিয়ে গণ্ডগোল পাকিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করেন। এদিন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানিকালে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি বলেন, বয়সের গণ্ডগোল পাকিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমার সঙ্গে ৯ বছরের একটি ছেলে যুদ্ধে যুক্ত ছিল। সে আমাদের খাবার এনে দিত। তার মা রান্না করে ছেলেকে দিয়ে আমাদের বাংকারে খাবার পাঠাতেন। খবর বাংলানিউজের
কম বয়সী খেতাবপ্রাপ্ত আরেক মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১১ বছর বয়সী এক মুক্তিযোদ্ধাকে কোলে নিয়ে খেতাব দিয়েছিলেন। এখন বয়স নির্ধারণ করার পর বঙ্গবন্ধু যেটা নিজে দিয়ে গেছেন, এটা কী করবেন? যাচাই-বাছাই কমিটি সম্পর্কে এই বিচারপতি আরও বলেন, অমুক্তিযোদ্ধা দিয়ে কমিটি করা হচ্ছে। যারা মুক্তিযোদ্ধা না তাদের দিয়ে কমিটি করছে। তারা কমিটি করে কী করছে! বয়স নিয়ে ৬০-৭০ বছরের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ সময় প্রধান বিচারপতি জন্ম তারিখ নিয়ে জটিলতার বিষয়ে এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছেলের মামলার কথা উল্লেখ করেন। প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগে থাকার সময় ওই মামল নিষ্পত্তি করেন। যেখানে ছেলের জন্ম দেখানো হয়েছে ১৯৭২ সালে। অথচ তার বাবা মুক্তিযুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, এসএসসির ফরম পূরণের সময় ১৯৭২ সালের কথা লেখা হয়। এই যে আমাদের বয়স দেওয়ার ক্ষেত্রে যে এই একটা ভুল। আমাদের জীবনের শুরু হয় ভুল দিয়ে।