ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে ২০০-৩০০মিটার গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে উন্নত প্রযুক্তি

| মঙ্গলবার , ২০ জুন, ২০২৩ at ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ

KONGSBERG MARITIME SDN BHD (সিমরাড ব্র্যান্ড) নরওয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ SU90 হাইরেঞ্জ মডেলের ‘সোনার’ সরবরাহের নিমিত্তে ম্যাক গ্রুপের সাথে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম চুক্তিনামা সম্পাদিত হয়েছে। চুক্তিনামায় KONGSBERG MARITIME SDN BHD (সিমরাড ব্র্যান্ড) নরওয়ের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর Brain Jogernsenএবং ম্যাক গ্রুপের পরিচালক ওমর ফারুক কাদের স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে KONGSBERG MARITIME SDN BHD (সিমরাড ব্র্যান্ড) নরওয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ম্যাক গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। হাইরেঞ্জ মডেলের ‘সোনার’ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বিধায় অদূর ভবিষ্যতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণে প্রধানমন্ত্রীর ব্লু ইকোনমির উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, ম্যাক গ্রুপ দীর্ঘ ১৫২০ বছর মৎস্য সম্পদ আহরণে নিয়োজিত আছে। এ অভিজ্ঞতার আলোকে তারাই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সিমরাড এর SH93 মডেলের ‘সোনার’ ব্যবহার করে মৎস্য সম্পদ আহরণে বেশ সফলতা অর্জন করে। তাই এবার আরো উন্নত প্রযুক্তির হাইরেঞ্জের ‘সোনার’ SU90 সর্বপ্রথম আমদানি করতে যাচ্ছে। মৎস্য সম্পদ আহরণের জন্য সরকারি সুযোগ সুবিধা অব্যাহত থাকলে গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য সম্পদ আহরণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাবে। যেহেতু গভীর সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাস না করে বিভিন্ন জায়গায় মাইগ্রেটিং করে থাকে। তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ হাইরেঞ্জ মডেলের ‘সোনার’ এর সাহায্যে সাগরের ২০০ ৩০০মিটার গভীর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য সম্পদ আহরণ করা সম্ভব হবে, যা এখনো পর্যন্ত আহরণ করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে গত বছরের তুলনায় গভীর সমুদ্র থেকে এ বছর আহরিত মৎস্য সম্পদের পরিমাণ অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে যা কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে। এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আমদানিকৃত জাহাজের মাধ্যমে মৎস্য সম্পদ আহরণ করতে গেলে মৎস্য বিক্রিলব্ধ অর্থের সিংহভাগই (প্রায় ৮০%) ডিজেল ক্রয়ের বিপরীতে ব্যয় করতে হয়। ফলে প্রযুক্তিগত অত্যাধুনিক জাহাজগুলোকে লাইসেন্সভিত্তিক ডিজেল ক্রয়ে ভর্তুকি প্রদান করা হলে মৎস্য সম্পদ আহরণে আশানুরূপ সাফল্য পাওয়া যাবে বলে মনে করেন ম্যাক গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের। অন্যান্য উদ্যোক্তারাও এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৎস্য আহরণে এগিয়ে আসবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ম্যাক গ্রুপের অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্টার সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ এবং স্টার ট্যাংক টার্মিনালের ব্যবসায়িক পরিধি আরো সমপ্রসারণ হতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে এম এ কাদের বলেন, আমাদের এসব কার্যক্রম অদূর ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকবাজার থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
পরবর্তী নিবন্ধঈদুল আজহার ছুটি বাড়ল ১ দিন