চাষিরা যাতে ব্লাস্ট আক্রান্ত ব্রি–২৮ ধান আর চাষ না করে এজন্য তাদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। বলেছেন, অনেক জায়গায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এজন্য ব্রি–২৮ ধান মাঠ থেকে দ্রুত তুলে নেওয়া হবে। চাষিদের অন্য জাতের ধান চাষ করতে বলছি। গতকাল সচিবালয়ে বোরো ধান নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খবর বাংলানিউজের।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, নতুন জাতগুলোর মধ্যে একটা ব্রি–২৮ বাংলাদেশে জনপ্রিয়। চালটা চিকন, উৎপাদনও ভালো, আসেও আগে। কিন্তু সব জাতই দীর্ঘদিন চাষ করলে গুণাগুণ কমে যায়। বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড় আক্রমণের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ব্রি–২৮ এত ভালো ধান, এটা ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। অনেক জায়গায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা চাচ্ছি খুব দ্রুত ব্রি–২৮ মাঠ থেকে তুলে নিয়ে আসতে। কৃষকরা যাতে এ ধান আর চাষ না করে সেজন্য তাদের নিরুৎসাহিত করছি। তাদের অন্য জাত চাষ করতে বলছি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিনা–৮৯ ও ৯২, বঙ্গবন্ধু–১০০, বিনা–২৫ ধান ভালো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ জাতগুলো দ্রুত সম্প্রসারিত হওয়া দরকার। কৃষকের কাছে যাওয়া দরকার। বিনা–২৫ এত চিকন চাল, এবার এত উৎপাদন হয়েছে, অস্বাভাবিক লাগছে। এবার এ ধানটা বিপ্লব ঘটাবে। বেশিরভাগ জেলায় এটা দেওয়া হয়েছে।