ব্যবহার হয় না দু’পাড়ের ওজন স্কেল

কালুরঘাট সেতু ।। নিষেধ সত্ত্বেও চলছে ভারী যানবাহন, বাড়ছে দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগ

বোয়ালখালী প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

দুই পাড়ের ওজন স্কেলের ব্যবহার হয়না। ফলে রেল কর্তৃপক্ষের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও কালুরঘাট সেতুর উপর দিয়ে প্রতিনিয়তই চলাচল করছে ১০ টনের অধিক ভারী মাল বোঝাই যানবাহন। মূলত টোল আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারীদের যোগসাজশে এমনটি হচ্ছে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে একদিকে ঝুঁকিতে পড়ছে সেতুটি অন্যদিকে অধিক ওজনের গাড়ি আটকে সৃষ্ট যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে উভয় পাড়ের কয়েক লক্ষাধিক মানুষকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে মেয়াদ ফুরিয়েছে কালুরঘাট সেতুর। জোড়াতালি দিয়ে কোনমতে এখনো টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের কথা থাকলেও নানান অজুহাতে এখনো হয়ে উঠেনি। ফলে শত দুর্ভোগের মধ্যে দিয়েও প্রতিনিয়তই এর উপর দিয়ে পাড়ি দিতে হচ্ছে উভয় পাড়ের কয়েক লাখ মানুষকে। গত ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সেতুটি পরিদর্শনে এসে নিজেই এমন পরিস্থিতে পড়েন। এসময় পায়ে হেঁটে পূর্ব পাড়ে গিয়ে সমবেত এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এখানে ওজন স্কেল বসানোর ঘোষণা দেন মন্ত্রী। পরে কয়েক মাসের মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষ সেতুর দুইপাড়ে দুটি ওজন স্কেল বসায়। তবে এসব ওজন স্কেলে এখনো কোন গাড়ির ওজন নেয়া হয়েছে বলে জানাতে পারেননি সেতু এলাকার কেউ।
সিএনজি চালক মফিজ বলেন, আমি গাড়ি নিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪/৫ বার সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করি। এখনো দেখিনি কোনো গাড়ির ওজন নিতে। অনেকেই জানেই না আসলে এটা কি। অথচ অহরহই পার হচ্ছে অধিক ওজনের গাড়ি। সেতু দিয়ে নিত্য যাতায়াতকারী চট্টগ্রাম চেম্বারের সদস্য এস এম ইয়াকুম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আজ পর্যন্ত একটি গাড়িও ওজন স্কেলে তুলেছে চোখে পড়েনি। তাহলে সরকারের এতো টাকা খরচ করে এগুলো বসানোর দরকার ছিল না। এসময় তিনি প্রশ্ন রাখেন কার স্বার্থে এসব স্কেলগুলো ব্যবহার হচ্ছে না?
এবিষয়ে টোল অফিসে কর্মরত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর দৈনিক আজাদীকে বলেন, সেতুটি দিয়ে এখন তেমন বড় বা বেশি ওজনের গাড়ি চলাচল করে না। শুধু ছোট গাড়িগুলোই চলাচল করে। তাই ওজন স্কেলের ব্যবহার হয় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচোখ ওঠা রোগে করণীয় কী যা বলছেন চিকিৎসক
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬