ব্যবহার না থাকায় আগেরগুলো নষ্ট, নতুন তিনটি নামবে আজ

সুইপিং গাড়ি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাস্তার ধুলাবালি পরিষ্কারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) তিনটি সুইপিং গাড়ি দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। প্রথমবারের মতো আজ বুধবার সকালে জিইসি মোড় থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত এসব গাড়ির সাহায্যে ধুলাবালি পরিষ্কার করার কথা রয়েছে। অথচ সিটি কর্পোরেশনের তিনটি সুইপিং গাড়ি আছে। যেগুলো গত কয়েক বছরে একবারও ব্যবহার করা হয়নি। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় গাড়িগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় নতুন পাওয়া সুইপিং গাড়িগুলোর যথাযথ ব্যবহার হবে?
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০টি সুইপিং গাড়ি সংগ্রহ করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনে এসব গাড়ি বিতরণ করা হয় গত সপ্তাহে। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এবং চসিককে তিনটি করে গাড়ি দেওয়া হয়। গাড়িগুলো চালানোর জন্য চসিকের তিনজন চালককে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। এদিকে আজ সুইপিং গাড়িগুলোর উদ্বোধন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। পূর্বের গাড়িগুলো নষ্ট হওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নষ্ট কিনা এবং গাড়িগুলো কী রকম সেটা আমার নলেজে নেই। তবে এখন পাওয়া গাড়িগুলো চালানোর পর বোঝা যাবে সেগুলোর আউটপুট কেমন। সেই আলোকে মন্ত্রণালয়ে জানাব। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, ধুলায় ধুসর হয়ে আছে এলাকাগুলো। সাধারণ মানুষ বলছেন, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, পিডিবি ও সিডিএর চলমান উন্নয়ন কাজের কারণেই মূলত ধুলার পরিমাণ বেড়েছে। এক্ষেত্রে পানি ছিটানো হলে ধুলার পরিমাণ কিছুটা হলেও কমত বলে মনে করেন পথচারীরা।
নষ্ট পড়ে আছে তিনটি গাড়ি : চসিকের আগের সুইপিং গাড়ি তিনটির দাম ২ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ৫০ লাখ ৩০ হাজার টাকায় একটি গাড়ি কেনা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৮ জুন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় বাকি দুটি সুইপিং গাড়ি দেয় চসিককে। এসব গাড়ির প্রতিটির মূল্য ৮৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
অভিযোগ আছে, প্রথম দিকে কিছুদিন এসব গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গাড়িগুলোর তেমন ব্যবহার হয়নি। এর কারণ হিসেবে প্রায় সময় চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলতেন, গাড়িগুলো বাংলাদেশে ব্যবহার উপযোগী নয়। গাড়িগুলো মসৃণ পিচঢালা সড়কের হালকা ধুলাবালি পরিষ্কার উপযোগী। কিন্তু চট্টগ্রামের সড়ক ও ফুটপাতে যেভাবে ধুলাবালির ভারী আবরণ পড়ে থাকে, গাড়িগুলো দিয়ে এসব পরিষ্কার কঠিন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চসিকের এক কর্মকর্তা বলেন, সুইপিংয়ের দুটি গাড়িতে আছে ডাবল ইঞ্জিন। একটি সাধারণ ট্রাকে ঘণ্টায় ১৫ লিটার ডিজেল প্রয়োজন হলেও সুইপিংয়ে লাগে ৩৫ থেকে ৪০ লিটার। অতিরিক্ত খরচের ভয়ে গাড়িগুলো চালানো হয় না। না চালাতে চালাতে গাড়িগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিষেধাজ্ঞামুক্ত হচ্ছেন সাকিব আজ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ