ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন, শত কোটি টাকা জরিমানা

৯১ কোটি ৯২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে আত্মসাৎ আসামি পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানা জারি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

অগ্রণী ব্যাংক লালদীঘি কর্পোরেট শাখা থেকে ৯১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে আত্মসাতের দায়ে হালিশহরের এক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, একশত কোটি টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মজিবুর রহমান মিলন নামের ওই ব্যবসায়ী স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির জন্য ঋণ নিয়েছিলেন। মুহিব স্টিল অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দণ্ডবিধির অপর একটি ধারায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন না। পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় ১০ জন সাক্ষী কাঠগড়ায় হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতসূত্র জানায়, আসামি মজিবুর স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির জন্য ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময় মোট ৯১ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯২ টাকা অগ্রণী ব্যাংক লালদিঘী শাখা থেকে ঋণ নেন। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি উক্ত ঋণ পরিশোধ না করে গাঢাকা দেন। এ ঘটনায় অনুসন্ধান পরবর্তী ২০১৮ সালের ২৪ মে মজিবুরের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম১ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট মজিবুরের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিরোধী দল তো জাতীয় পার্টি : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধউপজেলা, সিটি, পৌর ভোটে নৌকা দেবে না আওয়ামী লীগ