বোয়ালখালীর জৈষ্ঠ্যপুরা রাত নামলেই হাতির ভয়

বোয়ালখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালখালীর জৈষ্ঠ্যপুরায় গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতেই লোকালয়ে নেমে আসছে হাতি। তছনছ করছে ক্ষেত-খামার, ঘর-বাড়ি। এ নিয়ে ভয়ে ঘুম নেই স্থানীয়দের চোখে। সবাই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে সূর্যাস্তের সাথেই ঘরে ঢুকে যায়। এলাকায় নেমে আসে শুনশান নীরবতা। পথ ঘাট থাকে একদম ফাঁকা। বন্ধ থাকে দোকানপাটও। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় নিপুন মেম্বারের বাড়িতেও তাণ্ডব চালিয়েছে হাতি। গোলা ভেঙে খেয়েছে ধান।
নিপুন দে বলেন, শেষ রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায় সবার। জানালার ফাঁক দিয়ে দেখি একটা হাতি দরজা ঠেলছে। ঘরের সবাই দৌড়ে ছাদে উঠে যাই। গোলায় আমার ৪০/৫০ আড়ি ধানের মধ্যে কিছু খেয়ে বাকিগুলো নষ্ট করে দিয়ে চলে গেছে।
একই এলাকার ছবি বসু বলেন, ক্ষেত-খামারের আয় দিয়ে আমার সংসার চলে। গতকাল সকালে বেগুন ক্ষেতে গিয়ে দেখি সব শেষ। যেন দৈত্য নেমেছে। হাতি পা দিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে সব।
স্থানীয়রা জানান, আগে এই এলাকার অনেককেই পায়ে পিষ্ট করে মেরেছে হাতি। মাঝখানে কিছুদিন বিরতির পর গত সপ্তাহ খানেক ধরে হঠাৎ বেড়েছে উপদ্রব। রাত হলেই পাশ্ববর্তী পাহাড় থেকে নেমে আসছে হাতি। সারারাত তান্ডব চালিয়ে ভোরে ফিরে যাচ্ছে। ভয়ে সূর্যাস্তের সাথে-সাথেই ঘরে ঢুকে যাচ্ছে এলাকার মানুষ। কখন কার ঘর আক্রমণ করে এ ভয়ে রাতভর নির্ঘুম রাত কাঠাতে হচ্ছে। এলাকাবাসি স্থানীয় প্রশাসনকে অনেকবার জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ তাদের।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দৈনিক আজাদীকে বলেন, সরকারি নিষেধ থাকায় কিছু পদ্ধতি দিয়ে হাতিকে তাড়ানো ছাড়া অন্য কিছু করার নেই। কয়েকজনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারপরও এখন প্রতিদিন হাতি নেমে তান্ডব চালাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে এলাকাবাসি ক্ষতিপূরণ নয় হাতির আক্রমণ থেকে নিস্তার চান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখেলাপি মামলা হয় প্রতিদিন গড়ে পাঁচটি, নিষ্পত্তি তিনটি
পরবর্তী নিবন্ধকরা যাবে সব থানার জিডি মিলবে নানা পুলিশি সেবা