বোয়ালখালীতে স্বাস্থ্য সহকারীদের ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

বোয়ালখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালখালীতে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) এসএম জিহাদ বাবলুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা বিআরডিবি হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সকলের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাস্থ্য সহকারী সুমন ঘোষ। লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, ২০২১ সালে স্কুল পর্যায়ে হাম রুবেলা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। করোনা মহামারীর এ সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বোয়ালখালী উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা তা শতভাগ সফলতার মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ওয়ার্ডে নিয়োজিত স্বাস্থ্য সহকারীর জন্য সরকার বরাদ্দ দেন ১৯ হাজার ২৭৬ টাকা। অথচ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) এসএম জিহাদ বাবলু প্রতিজন স্বাস্থ্য সহকারীকে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রদান করেছেন ১২ হাজার ১৬০ টাকা। এর মাধ্যমে তিনি ৩০ ওয়ার্ড থেকে ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৮০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই সাথে এ ক্যাম্পেইনের মাইকিংয়ের জন্য বরাদ্দকৃত ৯৬ হাজার টাকাও তিনি আত্মসাৎ করেন। যে সকল স্বাস্থ্য সহকারী হাম রুবেলা ক্যাম্পেইনে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যান তাদের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক ৯ হাজার ৬০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকাও তিনি কাউকে প্রদান করেননি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত দুই রাউন্ড ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিজন স্বাস্থ্য সহকারীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ৪৯৮ টাকা। কিন্তু ৮ হাজার ৬০০ টাকা প্রদান করে জিহাদ বাবলু ৩০ ওয়ার্ড থেকে ২৬ হাজার ৯৪০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার এ কর্মকাণ্ডে প্রাপ্য ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করায় চলমান শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। অথচ জনবল থাকা সত্ত্বেও নানা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এ ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) এসএম জিহাদ বাবলু বলেন, আমার স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলনের সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে সুমন ঘোষ, মো. আনোয়ার হোসেন, রুমি আকতার, রুমি সুলতানা, চুমকী দাশসহ ২৪ জন স্বাস্থ্য সহকারী উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাসে পাচার ১০ কোটি টাকার কাপড়
পরবর্তী নিবন্ধসংরক্ষিত বন থেকে অবাধে গাছ উজাড়