বোয়ালখালী পৌরসভা ও সন্দ্বীপের ১২ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। আগামীকাল রাত ১২টায় বন্ধ হয়ে যাবে প্রার্থীদের সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। ২০ সেপ্টেম্বর ইভিএমে বোয়ালখালী পৌরসভা এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে সন্দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। বোয়ালখালী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ২৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১৫৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৩১৩জন পোলিং কর্মকর্তাসহ মোট ৪৯৫ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এদিকে সন্দ্বীপ উপজেলার ১২ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এই ইউনিয়নগুলোতে মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১২ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য ১ হাজার ৬৫৫ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা) প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, সন্দ্বীপের ১২ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য ৬৩১ টি স্বচ্ছ ব্যালট বক্স পাঠানো হচ্ছে। অপরদিকে বোয়ালখালী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ২৪টি ভোট কেন্দ্র এবং ১৪৯টি বুথের জন্য ১৫৬টি ইভিএম পাঠানো হচ্ছে। এখন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ চলছে। আগামীকাল ১৮ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শেষ হবে বলে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন।
এদিকে বোয়ালখালী পৌরসভায় মেয়র পদে মো. জহুরুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এখন ৯ ওয়ার্ডে ৫০ জন সাধারণ আসনের কাউন্সিলর এবং ৮জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে যে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেগুলো হলো, বাউরিয়া ইউনিয়ন, গাছুয়া, সন্তোষপুর, আমানউল্ল্যা, হরিশপুর, রহমতপুর, আজিমপুর, মুছাপুর, মাইটভাঙ্গা, সারিকাইত, মগধরা ও হারামিয়া ইউনিয়ন।
এদিকে সন্দ্বীপে মগধারা ইউনিয়ন, বাউরিয়া ইউনিয়ন, সারিকাইত ইউনিয়ন এবং হারামিয়া ইউনিয়নে বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।