দীর্ঘদিন ধরে চিনির বাজার চড়া। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সয়াবিন তেলের লিটারে ১২ টাকা বেড়েছে। এছাড়া বাড়ছে পেঁয়াজ–রসুন ও আদার ঝাঁজ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সামপ্রতিক সময়ে ভোগ্যপণ্যের দাম না বাড়লেও দেশের প্রত্যেকটি পণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী। ভোক্তাদের দাবি, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। গতকাল নগরীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। এছাড়া রসুনের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, চীনা আদা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকায়। এছাড়া চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। অন্যদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন দর অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউরি এলাকার ভান্ডার স্টোরের খুচরা বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান জানান, তেল–চিনির পর গত এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বাড়ছে। আমরা পাইকারী বাজার থেকে অল্প অল্প পণ্য কিনে বিক্রি করি। পাইকারী কমে গেলে আমরাও কমিয়ে দিবো।
এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, খরচের সাথে কোনো আয়ের সমন্বয় করতে পারছি না। প্রতি সপ্তাহে লাফিয়ে লাফিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এসব দেখার কেউ নেই। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। সরকারের কোনো সংস্থা অভিযান চালাতে গেলেও তাদের বাঁধার মুখে পড়তে হয়। কোনো পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১ ডলার বাড়লেও সাথে সাথে তারা দাম বাড়িয়ে দেন। অথচ যেসব পণ্যের দাম তারা বাড়িয়ে দেন, সেগুলো কিন্তু আগে আমদানি করা। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের বুকিং রেট কমে গেলে তখন কিন্তু তারা পাইকারি বাজারে দাম কমিয়ে দেয় না। তাছাড়া, যাদের বাজার মনিটরিং করার কথা, তারা সেভাবে মাঠে নেই। এতে কিন্তু ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা সুবিধাটা নিয়ে থাকে।