দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন খালি থাকার কারণ কি শুধু ভর্তি প্রক্রিয়ায় ‘অটোমেশন পদ্ধতি’ নাকি ‘মানের ঘাটতি’, তা খুঁজে দেখার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বেগম রোকেয়া সুলতানা। গতকাল শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বেসরকারি স্বাস্থ্য শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ভর্তি প্রক্রিয়ায় চলমান শিক্ষার্থী সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা’ শিরোনামে এক আলোচনা সভায় এ তাগিদ দেন তিনি। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন–বিপিএমসিএ, যারা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করে। সভায় বিপিএমসিএ জানায়, বর্তমানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ১ হাজার ২০০টি আসন খালি রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সভার শুরুতে বিপিএমসিএ সভাপতি এমএ মুবিন খান বলেন, “শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় বর্তমান অটোমেশন পদ্ধতির কারণে অনেকেই ভর্তি হতে পারছেন না। অসংখ্য আসন খালি রয়েছে। গরিব মেধাবীদের জন্য রাখা আসনেও শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। এটা বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের আঘাত।” ২০২২ সালে পাস হওয়া আইনে বলা আছে, মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজের ৫ শতাংশ আসন অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। বিপিএমসিএর দেওয়া তথ্যে উঠে এসেছে– মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটাতেও আসন খালি। বিদেশি শিক্ষার্থীদের আসন পূরণ হয়নি। অথচ কোভিড মহামারির সময় একটি আসনও খালি ছিল না। ভর্তিতে ‘অটোমেশনের কারণে’ গত বছর ধরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে বলে দাবি বিপিএমসিএ এর। অটোমেশন পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে ‘পাইলট’ হিসেবে নিয়ে এর ওপর আরও আলোচনা–পর্যালোচনা করার প্রয়োজন ছিল বলে বক্তাদের কথায় উঠে আসে।