বেসরকারি আইসিডি রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনার ব্যয় বাড়ল ২৫%

| সোমবার , ২২ আগস্ট, ২০২২ at ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেনার ব্যবস্থাপনার খরচ আরও ২৫ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি ডিপো মালিকরা। প্রতি কন্টেনার রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এখন থেকে বাড়তি হারে এ মাশুল দিতে হবে, যা কার্যকর হবে ৬ আগস্ট থেকে। এর আগে গত ১০ আগস্ট আমদানি পণ্যবাহী কন্টেনার ব্যবস্থাপনার মাশুল ৩৪ শতাংশ বাড়িয়েছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরেও ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর একদফা মাশুল বাড়ানো হয়েছিল। গতকাল রোববার ঢাকায় ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) ও বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) নেতাদের মধ্যে বৈঠকে এবার রপ্তানি পণ্যের জন্য ডিপোর ভাড়া বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত হয়। খবর বিডিনিউজের।
বিকডা মহাসচিব রুহুল আমিন শিকদার বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বৈঠকে দুইপক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে দুই ধরনের মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে ‘স্টাফিং চার্জ’ ও ‘ভিজিএম’ (ভেরিফায়েড গ্রস মাস) ২৫ শতাংশ করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খালি কন্টেনার ডিপোর শেডে এনে রপ্তানি পণ্য বোঝাই করা, গাড়িতে করে ডিপো থেকে বন্দরে নিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম রয়েছে স্টাফিং চার্জের মধ্যে। আর ‘ভিজিএম’ কন্টেনারের ওজন পরিমাপক প্রক্রিয়ার মাশুল।
বিকডার হিসেবে, ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রতি কন্টেনারের বর্তমান স্টাফিং চার্জ ৫০৯২ টাকা। ২৫ শতাংশ হিসেবে তা এক হাজার ২৭৩ টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ছয় হাজার ৩৬৫টাকায়। অপরদিকে ৪০ ফুট লম্বা কন্টেনারের মাশুল ছয় হাজার ৭৯০ টাকা থেকে এক হাজার ৬৯৭ টাকা বেড়ে দাঁড়াবে আট হাজার ৪৮৭ টাকায়। বিকডা মহাসচিব জানান, এসব বর্ধিত মাশুল গত ৬ অগাস্ট তেলের মূল্যবৃদ্ধির দিন থেকে কার্যকর বলে ধরা হবে। তবে জ্বালানি তেলের দাম কমলে এসব মাশুল প্রয়োজনে সমন্বয় করা হবে।
বিকডার হিসেবে, বর্তমানে প্রতি কন্টেনার ‘ভিজিএম’ মাশুল ১৪১৫টাকা। ২৫ শতাংশ বাড়তি হিসেবে ৩৫৪ টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ১৭৬৯ টাকায়। বর্তমানে চট্টগ্রামে ২০টি বেসরকারি কন্টেনার ডিপো রয়েছে। সারাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্য এসব ডিপোতে এনে কন্টেনার বোঝাই করে বন্দরে নিয়ে জাহাজে করে রপ্তানি হয়। বন্দর দিয়ে আমাদনি হওয়া ৩৮ ধরনের কন্টেনার ভর্তি পণ্য এসব ডিপোতে এনে খালাস করা হয়। এছাড়া খালি কন্টেনারও সেখানে রাখা হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া কন্টেনার পণ্যের ৯০ শতাংশই বেসরকারি ডিপোর মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবির ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ
পরবর্তী নিবন্ধআগুনে পুড়ল ২৭ বসতঘর