বেগম খালেদা জিয়া সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার

কক্সবাজারে বিএনপি’র সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২২ at ৯:৫৬ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে বিএনপি’র সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তাকে কারাগারে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ দেয়ার পরও তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে না।”

বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ‘চলো চলো কক্সবাজার চলো’ শ্লোগানে আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় কক্সবাজার শহরের শহীদ সরণী সড়কে এই সমাবেশ ডেকেছিল জেলা বিএনপি। পরে একই জায়গায় পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয় জেলা যুবলীগ।

এ নিয়ে প্রশাসন আজ সোমবার ভোর থেকে কাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের বিএনপি অফিস সংলগ্ন শহীদ সরণী সড়ক ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা জারির পর শহরে মাইকিং করে প্রচার করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিএনপি আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের ঈদগাঁও মাঠে এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

জেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, “রাতের আঁধারে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসায় জনগণের প্রতি সরকারের কোনো আস্থা নেই। তাই বিএনপির সাংবিধানিক অধিকারও তারা হরণ করছে।”

তিনি নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপকে ‘প্রহসন’ আখ্যায়িত করে বলেন, “এর আগেও এই রাষ্ট্রপতির সাথে আরো দুইবার সংলাপ হয়েছিল। ঐ সংলাপের পর গঠিত নির্বাচন কমিশন দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারেনি। এই দু’টি কমিশনই দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত কমিশন। তাই রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপ একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।”

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা বিএনপি’র সভাপতি শাহজাহান বলেন, “সরকার মানুষের সব গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমাদের পূর্ব নির্ধারিত জনসভাস্থলে যুবলীগের কর্মসূচি দেওয়া তাদের হীনমানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।”

এদিকে, জনসভা করতে না পেরে বিএনপি’র বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করে।

এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে পথসভায় আসার পথে বাধাপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীরা উপজেলা শহরেও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তবে ১৪৪ ধারা অমান্য করে শহীদ সরণীতে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করা বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, “বিএনপি’র সমাবেশের জন্য কোনো স্থানের অনুমতি নেই কিন্তু বিএনপি সমাবেশ করার চেষ্টা করেছে। তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে ২ চেয়ারম্যান ও ১ সদস্য প্রার্থীকে জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধশাহ আমানত বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা শুরু