বৃষ্টি হলেই বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ

দিয়াকুল-চিরিংঘাটা-ধোপাছড়ি সংযোগ সড়ক

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | শনিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের দিয়াকুল-চিরিংঘাটা-ধোপাছড়ি সড়কের জিরোবুক ছড়ায় পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। তবে এ সড়কের ছিকন জিরি ও চিরিংঘাটা সংলগ্ন কেয়ারখোলা ছড়ায় আরো ২টি ছোট সেতু প্রয়োজন। এই ২টি সেতুর অভাবে সড়কটির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানায়, মুষলধারে বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ি ঢল ছড়া দিয়ে শক্সখ নদে এসে পড়ে। এ সময় পানির তীব্রতায় বিদ্যমান ছোট কালভার্টের দুই প্রান্তে ছিড়ে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। দুর্ভোগে পড়েন এখানকার মানুষ। অনেক কষ্টে স্থানীয়রা কালভার্টের দুই প্রান্তে গাছ, বাঁশের খুঁটি, বস্তা দিয়ে কোনো মতে চলাচল উপযোগী করলেও বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে তা পুনরায় ছিড়ে যায়। এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ।
ছিকন জিরি ছড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম (৬৫) বলেন, বিগত ৭/৮ বছর ধরে দিয়াকুল-চিরিংঘাটা-ধোপাছড়ি সড়ক দিয়ে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত ব্যবস্থার সুযোগ পেয়েছিলাম। মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাকযোগে পণ্য পরিবহন করা যায়। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি ঢলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে ছিকন জিরি ও কেয়ারখোলা ছড়ায় বিদ্যমান কালভার্টের স্থলে ২টি সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলীম বলেন, দিয়াকুল-চিরিংঘাটা-ধোপাছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্রিক সলিন উঠে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়কে চলাচল করছে জনগণ। তাই উক্ত সড়কটি সংস্কার ও ২টি সেতু নির্মাণ করা হলে ধোপাছড়িবাসীর যাতায়াতসহ পণ্য পরিবহনে সুবিধা পাবে। এজন্য তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ জুনাইদ আবছার চৌধুরী বলেন, সড়কটি ধোপাছড়ি ইউনিয়নবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে এই সড়কে জিরোবুক সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। ছিকন জিরি ছড়ায় ১০০ মিটারের একটি সাপোর্টিং ফর রুরাল সেতু প্রকল্পে প্রস্তাব করা হয়েছে। অনুমোদিত হলে ওই ছড়ায় দ্রুত সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাজীপুরে পুলিশ লাইনসে বেলুন বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫
পরবর্তী নিবন্ধঅপহরণের ১১ দিন পর কলেজ ছাত্রী উদ্ধার