আহা বৃষ্টি নামুক মন ভিজিয়ে, রৌদের সাথে আড়ি। কয়েকটা দিন গেলেই বলি বৃষ্টি বাবা কবে যাবে বাড়ি। অঝোর ধারায় নামুক বৃষ্টি সব কিছু হোক শান্ত কোমল।
এখন প্রত্যেকটা মানুষের এই একটাই চাওয়া। প্রতি বছর আমরা অথৈ পানিতে ডুবে নাক কান মলে প্রতিজ্ঞা করি বৃষ্টির পানি সহজে ড্রেন কীভাবে করা যায়। তখন ধনী গরীব, উঁচু শ্রেণি, নীচু শ্রেণি প্রত্যেকটা মানুষ এতো সমাজ সচেতন হই এখন ভাবলেই অগোছালো হয়ে যাই। আমরা বাঙালি, হুজুগেই প্ল্যান প্রোগ্রাম করি। শুরু আর শেষ কতোটা ভালো হবে তা নিয়ে চিন্তা করি না। বৃষ্টির জন্য কান্না, আল্লাহ এতো মানুষের দোয়া নিশ্চয় কবুল করবেন, তারপর আমরা বৃষ্টির অঝোর ধারায় সিক্ত হব। পাঁচ ছয় ঘণ্টা অঝোর বৃষ্টিতে সমগ্র বাংলাদেশ শান্ত আর শীতল হবে, তখন অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি কী হবে। কোথায় যাবে পানি বন্দী মানুষ, যোগাযোগের অচলাবস্থা চিত্রটা চিন্তা করলেই বৃষ্টির জন্য কাঁদতে মন চায় না। সাধারণ মানুষ কৃষক, শ্রমিক তাদের কথা মনে আসলে ভাবনা টা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এতো কিছু ভাবছি ঘর থেকে দুই কদম হাঁটলেই প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতল, ওয়ান টাইম গ্লাস প্লেট, ডাবের খোসা কী নেই রাস্তার দুই ধারে। আমরা সবাই একশত ভাগ অপরাধী। বেমালুম ভুলে যাই নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার কথা। সরকারি সংস্থা ময়লা সংগ্রহ করাটা এবং ফেলাটা দুইটাই দলছুট কাজ মনে হয়। ঘর থেকে তুলে নিয়ে ফেলে আবার রাস্তার আরেকটা জায়গায়। কবে আমরা সচেতন হবো তার কোন গ্যারান্টি নেই। সচেতনতার গল্প এখন আর মানায় না। এখন আসলে ফাইন করার গল্পে আসতে হবে। আসুন আসছে বৃষ্টিতে নিজ জায়গায় ময়লাগুলো নিয়ে চিন্তা করি। দোকানের সামনে রাস্তার ধারে। সব জায়গায় প্লাস্টিকের আবর্জনা। প্লাস্টিক বিক্রির জায়গায় পুলিশের অভিযান না করে, যারা উৎপাদন করে তাদের কারখানায় অভিযান চালান তাহলে দেশের নদী নালা খাল বিলগুলো রক্ষা পাবে। মাটির ধূলিকণা ভূমিতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে। আসছে বৃষ্টিতে আনন্দে কয়েক ঘণ্টা সময় কাটবে আর বাকিটা সময় পানি বন্দি মানুষের উদ্ধারের কাজে সবাই ছোটাছুটি করবে আবার আমরা শপথ নিব এবং বৃষ্টি শেষে আবার শীতনিদ্রায় যাব। কবে ঘুম ভাঙবে, কবে সুন্দর একটা সমাধান হবে?