যে মা–বাবা সন্তানের ভাগ্য গড়তে জীবন শেষ করেন সে মা–বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার লোকনাথ ব্রহ্মচারী শ্রীমন্দির উদ্বোধনীর ২০তম বার্ষিকী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মেয়র বলেন, সন্তানের জন্য সম্পদ গড়ার চেয়ে সন্তানকে সম্পদ হিসেবে গড়া জরুরি। কারণ সন্তান সুসন্তান না হলে মা–বাবাকে জীবনের সবচেয়ে অসহায় সময়ে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়। বৃদ্ধকালে মা–বাবার সেবা করুন, তাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবেন না। বৃদ্ধাশ্রম এক নির্মম ঠিকানা। মা–বাবাদের জন্য নরকের চেয়েও যন্ত্রণাকর বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধাশ্রম নয়, মা–বাবার আশ্রয় হোক সন্তানের হৃদয়ে। আর, মা–বাবাদেরও বলব সন্তানকে সবচেয়ে সেরা শিক্ষা দিন, আপনার সন্তান সবচেয়ে সেরা মানুষে পরিণত হবে। আজকের অনুষ্ঠানের উপস্থিত এই শিশুরাই একদিন হয়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর। খবর বাসসের।
অনুষ্ঠানশেষে মেয়র সেবাশ্রমের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। সেবাশ্রম কর্র্তৃক শিশুনিকেতন নামে অনাথালয়ে ২৭ জন শিশুর ভরনপোষণ করায় আশ্রম কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে তারা প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সে সময় মেয়র এলাকার শীতার্তদের মাঝে নিজস্ব তহবিল হতে কম্বল বিতরণ করেন মেয়র। উৎসব কমিটির সভাপতি নিহার মল্লিকের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক টিংকু চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুনীল ধর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম, শৈবাল দাস সুমন, ফেরদৌস বেগম মুন্নি। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি অশেষ পুরোহিত, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিকাশ চৌধুরী, পূর্ণব্রতানন্দ মহারাজ, অধ্যাপক ডা. বাসনা মুহুরী, সুভাষ দাশ। উপস্থিত ছিলেন চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, বিপ্লব দাশ, প্রাক্তন সহকারী প্রকৌশলী বিবেক কান্তি দাশ প্রমুখ।