চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেছেন, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সঠিক পরিমাণ ও সঠিক পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য খেতে না পারায় অপুষ্টির মূল কারণ। বুদ্ধিভিত্তিক জাতি গঠনে পুষ্টি পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন জরুরি। আমরা পুষ্টিহীন কাউকে দেখতে চাই না। পুষ্টি বিষয়টি আমাদের আরও জানতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর জিইসি মোড়স্থ একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভাগীয় বহুখাত ভিত্তিক রিসোর্স দলের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় এ সভার আয়োজন করে। সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, সরকার পুষ্টির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ ২২টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে, যেগুলো পুষ্টি কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। গর্ভবতী নারীদের পুষ্টি ও মনো–সামাজিক বিকাশের দিকে নজর দিতে হবে। এর মাধ্যমে শিশুদের মস্তিষ্কের সার্বিক গঠন নিশ্চিত করা যাবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ আজম বলেন, পুষ্টিবান জাতি গঠনে আমাদেরকে অনেক কাজ করতে হবে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খানের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুমন বড়ুয়া।
এতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলে বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত বিশেষ করে নারী, কিশোরী, পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের পুষ্টি অবস্থা উন্নয়নে করণীয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগসহ অন্যান্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক সরকারী বিভাগের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার অগ্রাধিকার সরকারী বিভাগে কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের বিভাগের বার্ষিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।