বীর মুক্তিযোদ্ধা, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক আহমেদ আমিন চৌধুরী গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় ঢাকার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর রয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি তিন কন্যা, দুই পুত্রসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে যান। গতকাল বাদ মাগরিব জানাজা শেষে তাঁকে রাউজানের নোয়াজিশপুর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান হয়। উল্লেখ্য, আহমেদ আমিন চৌধুরী ১৯৫০ সালের ১৫ জানুয়ারি রাউজানের নোয়াজিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা চট্টলতত্ত্ববিদ আবদুল হক চৌধুরী, মাতা জুবাইদা বানু চৌধুরী। আহমেদ আমিন চৌধুরী ১৯৬৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর ১৯৭১ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান পুলিশ সার্ভিসে সাব ইন্সেপেক্টর হিসেবে যোগদান করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল তিনি সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারত চলে যান। দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে ২০০৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-ইতিহাস ও ঐতিহ্য, বাংলাদেশ পুলিশ উত্তরাধিকার ও ব্যবস্থাপনা, চট্টগ্রামী শব্দ সম্ভার, পুলিশ আইন সহায়িকা, চট্টগ্রামী ভাষার অভিধান ও লোকাচার, সিলেটি আঞ্চলিক ভাষার অভিধান, চট্টগ্রামী ডাক – দিস্তান ধাঁ ধাঁ ও হাস্তর, ইতিহাসের আলোকে মুক্তিযুদ্ধ ও রাউজান, ই এ চৌধুরী স্মৃতি আলেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশ লেখক অভিধান, পূণ্যভূমি কাবার পথে, চট্টগ্রাম বিচিত্রা, নামিবিয়ার স্বাধীনতায় আমরা, পুলিশ একাডেমি সারদা ও ৭১ এর প্রতিরোধ যুদ্ধের ইতিহাস, কানাডার অন্টারিওর দিনগুলি অন্যতম। তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলা একাডেমি, ইতিহাস পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। পেয়েছেন কবি নবীন চন্দ্র সেন সাহিত্য পুরস্কার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ আমিন চৌধুরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন- চিটাগাং চেম্বারের পরিচালকমন্ডলীর পক্ষে সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর হাজ্জাজ ও সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন। তাঁরা মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।