বিষ প্রয়োগে হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

| বৃহস্পতিবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২১ at ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

জলাশয়ে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর ফলে মাছের সাথে সাথে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জলজ প্রাণী মারা যেয়ে একদিকে যেমন পরিবেশের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব অন্যদিকে বিষ প্রয়োগে শিকার করা মাছ খেয়ে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী স্বাস্থ্যগতভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছে।এ ছাড়া কীটনাশক প্রয়োগ করা পানি পান করে হরিণ, মহিষসহ বনের নানা বন্যপ্রাণীও বিভিন্নভাবে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এমনকি মারাও যাচ্ছে। উল্লেখ্য সুন্দরবনে জেলে নামে দুর্বৃত্তরা অল্প পরিশ্রমে অধিক মুনাফা লাভের আশায় বনে প্রবেশের সময় তাদের নৌকায় লুকিয়ে ডায়াজিনন, রিপকর্ড, ফাইটার, মার্শাল ও ক্যারাটে জাতীয় কীটনাশক নিয়ে যায়। পরে জোয়ার হওয়ার কিছু আগে ওই কীটনাশক চিড়া, ভাত বা অন্য খাবারের সাথে নদী ও খালের পানির মধ্যে ছিটিয়ে দেয়। এফএও’র তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বে প্রায় ১৮ কোটি টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। এর অর্ধেকেরও বেশি স্বাদু পানির মাছ। বাকিটা সামুদ্রিক মাছ। বাংলাদেশ ২০১৭ সালে মাছ উৎপাদনে তৃতীয় স্থান লাভ করে এবং প্রাণিজ আমিষের ৫৮ শতাংশ আসে মাছ থেকে। আবার বিশ্বে গড়ে প্রাণিজ আমিষের ২০ শতাংশ আসে কেবল মাত্র মাছ থেকে। ২০১০ সালের জরিপ মতে,একজন লোক বছরে ১২ কেজি মাছ খায়। এখন সেটা ৩০ কেজিতে পৌঁছেছে। দেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ যার এক-চতুর্থাংশ অবদান এককভাবে মৎস্য খাতের। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার মাছ বিষপ্রয়োগে মারা হচ্ছে। এতে অভ্যন্তরীন মৎস্য ভাণ্ডার শূন্য হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। আর আমরা খাচ্ছি বিষাক্ত খাবার অনুপযোগী মাছ।

মাজহারুল ইসলাম শামীম,
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান: স্বদেশের জন্য আত্মোৎসর্গ
পরবর্তী নিবন্ধবর্তমানের হালচাল