সীতাকুণ্ড উপজেলার জোড়ামতল এলাকার বাসিন্দারা বিষাক্ত পোকার আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। কিন্তু স্মারকলিপি প্রদানের দীর্ঘ এক মাসের কাছাকাছি সময় অতিবাহিত হতে চললেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। জানা যায়, গত ছয় মাস আগে উপজেলার সোনাইছড়ি জোড়ামতলস্থ আল-আমিন ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় সাইনবোর্ডবিহীন একটি গোডাউনে পচা গম গুদামজাত করেন এক ব্যবসায়ী। এরপর থেকে গোডাউন এলাকার আশে-পাশে এক বিষাক্ত পোকার উপদ্রব শুরু হয়। প্রথমে এই পোকার আক্রমণ গোডাউন এলাকার আশে-পাশে থাকলেও বর্তমানে এর বিস্তৃতি পুরো জোড়ামতল এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
কালো ও কিছুটা লালছে প্রকৃতির এই পোকার কামড়ে মানুষের শরীরের ক্ষতস্থান প্রথমে লাল ও পরে কালো হয়ে যায়। পোকা যখন-তখন মানুষের নাক-কান দিয়ে ঢুকে পড়ে। বাসা বাড়িতে রান্না করা অবস্থায় খাবারে পড়ে। যাতে রীতিমত অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে স্থানীয় বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্বারকলিপি দিয়েছেন। এলাকার বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, বাসায় রান্না করার সময় হুট করে খাবারের মধ্যে পোকাগুলো এসে পড়ে। নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে পড়ে। এই পোকা আমাদেরকে রীতিমত অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই পোকার আক্রমণ থেকে প্রতিকার চাচ্ছি।
অপরদিকে গোডাউনের পাশে অবস্থিত আল-আমিন ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. আবু কায়সার বলেন, ইতিমধ্যে পোকার কামড়ে অতিষ্ঠ মাদ্রাসার হেফজ খানার শিশুরা। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে এ বিষয়ে গমের গোডাউনের সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ কোন প্রকার মন্তব্য করছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, আমি জোড়ামতল এলাকায় গমের গোডাউন থেকে বিষাক্ত পোকার আক্রমণ সংক্রান্ত একটি স্বারকলিপি পেয়েছি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।