বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে আর্ক এর বিশেষ অনুষ্ঠান

| শুক্রবার , ১১ অক্টোবর, ২০২৪ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মত এবারেও চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র আর্ক আয়োজন করে বিশেষ আলোচনা সভা, ওয়ার্কশপ ও লাফটার থেরাপি সেশন।

দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাক্তির চিন্তাভাবনা, আচরণ ও আবেগকে অবদমিত করে। ফলে পরিবারে ও কর্মক্ষেত্রে দৈনন্দিন জীবনে সে অনুৎপাদনশীল হয়ে পড়ে। এজন্যই এবারের প্রতিপাদ্যে বলা হচ্ছে ‘কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এখনই সময়’।

৯ অক্টোবর (বুধবার) দক্ষিণ খুলশিস্থ আর্ক ভবনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের এই বিশেষ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো: জাহিদ হোসেন মোল্লা, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড: মো: আফজাল হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড: মো: শাহিনুর রাহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়, চট্টগ্রামের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের কেমিক্যাল অ্যানালিস্ট শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: পরাগ দে, আর্ক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ তাসনিম আহমেদ। আর্কের সাইকোলজিস্ট ফাহিমা পারভীনের সঞ্চালনায় ও প্রতিষ্ঠান চিকিৎসক ডা: মুহাম্মদ শোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেভেলপমেন্ট কোর্ডিনেটর রকিবুল আজম, সেন্টার ইনচার্জ জাকির হোসেন এবং প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর দিদারুল আলম সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিভাবকবৃন্দ।

প্রধান অতিথি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে যেহেতু ব্যক্তির সুখ দুঃখ, আনন্দ বেদনা, ইত্যাদি সরাসরি জড়িত, তাই সবাইকে মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে মনযোগী হতে হবে। তিনি বলেন, এর প্রকৃতি কেমন হবে তা নির্ভর করে পরিবারের বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ, ধর্মীয় ও পারিবারিক অনুশাসন ইত্যাদির উপর। উপস্থিত অভিভাবক ও চিকিৎসাধীন রোগীদের উদ্দেশ্যে অন্য বক্তারা মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও নানা দিক তুলে ধরে বলেন দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সোশ্যাল স্টিগমা যেমন দায়ী তেমনি অসচেতনতা এবং অন্তর্মুখীতাও সমানভাবে দায়ী। এ জন্য মাত্রা অনুযায়ী নিয়মিত কাউন্সিলিং ও ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্ট এবং পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে উৎসাহ, স্বীকৃতি ও ইতিবাচক পরিবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আলোচনা সভা শেষে ড: আফজাল হোসেনের পরিচালনায় মূল প্রতিপাদ্যের উপর বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ড: শাহীনুর রাহমানের পরিচালনায় স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রাণবন্ত লাফটার থেরাপি সেশনের মাধ্যমে কার্যক্রমের সমাপ্তি হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুব রেড ক্রিসেন্ট সিটি কলেজ ইউনিটের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনার