প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দেশে রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর আসার মধ্যেই মাঙ্কিপক্সকে বিশ্বজুড়ে গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচও-র জরুরি অবস্থা ঘোষণার অর্থ এ রোগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের সরকারকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো। কোনো রোগের বিরুদ্ধে ডব্লিউএইচওর এটাই সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ডব্লিউএইচও সাতবার বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সর্বশেষ ঘোষণাটি এসেছিল ২০২০ সালে কোভিড-১৯ কে নিয়ে। খবর বিডিনিউজের।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, গত বৃহস্পতিবার ডব্লিউএইচও-র বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকের পর মাঙ্কিপক্স নিয়ে এ ঘোষণা এসেছে।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সংক্রমিত রোগ। সাধারণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রাণীদের এ রোগ হতে দেখা যায়। প্রাণীদেহ থেকে এ রোগ মানবদেহে ছড়ায়। আফ্রিকার দেশগুলোতে এর আগে কয়েকবার এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাই কোভিড-১৯ এর মত এ রোগ নতুন নয়। এ রোগের চিকিৎসাও আছে। কিন্তু এবার যেসব দেশে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে সেসব দেশে এই ভাইরাস থাকার কথা না। যে কারণে এবারের প্রাদুর্ভাবকে নজিরবিহীন বলা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত কয়েকশ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল, ব্রাজিল, মেক্সিকোসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস এক দেহ থেকে আরেক দেহে ছড়ায়। এবারের প্রাদুর্ভাবে পুরুষরা বিশেষ করে সমকামী পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।