‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যদি সত্যিই কোনো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে থাকে, শিক্ষক সমিতির সিন্ডিকেটের কাছে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা পক্ষ চাইলে দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক আদালতের শরণাপন্নও হতে পারেন। সেটা না করে আমার কার্যালয় ঘেরাও করা এবং পরবর্তীতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার এবং উপ–উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করার মাধ্যমে বুঝা যায় নিয়ম–অনিয়ম নয়, তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির মধ্য দিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করা।’ গতকাল রোববার বিকাল পাঁচটায় চবি চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। উপাচার্য বলেন, চবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে চলমান আন্দোলন প্রশাসনের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রদর্শনী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করছে। এ সময় তিনি আরও বলেন, শিক্ষক সমিতির একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ–উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে যে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে তা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, সমপ্রতি প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্যান্ডেল তৈরি করে পোস্টার প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রশাসনের দুর্নীতি এবং অনিয়মের সংবাদ তুলে ধরার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে কথা বললেও মূলত এসব কর্মের মধ্য দিয়ে তারাই প্রকারান্তরে নিজেদের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে এ নিয়ে তাদের মুখোমুখি হতে চায়নি বরং তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য বারংবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এতদসত্ত্বেও তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হননি, যার মধ্য দিয়ে এটা অনুমেয় যে তারা এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরকারের কাছে প্রশাসনের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছেন।
শিক্ষক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষকদের স্বার্থে যেকোনো সমস্যা সমাধান এবং যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নিতে বদ্ধপরিকর। শিক্ষক সমিতির দেয়া ২৬ দাবির ইতোমধ্যে অনেকগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে এবং অবশিষ্ট যৌক্তিক দাবিগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ সময় সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপ–উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পর্ষদের সদস্য প্রফেসর ড. ফরিদুল আলম, প্রফেসর ড. দানেশ মিয়া, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট প্রফেসর সজীব কুমার, প্রক্টর প্রফেসর ড. নূরুল আজিম সিকদার, রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদসহ প্রশাসনের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।