মুক্তির মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন–সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকীর শুভলগ্নে বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের ‘রূপ–নারানের কূলে’ কবিতার কয়েকটি পংক্তি উচ্চারণে শ্রদ্ধা–ভালোবাসা নিবেদন ও কিংবদন্তী বিশ্বনেতার মহাকাব্যিক মনীষার সামান্য কিছু উপস্থাপন করতে চাই। ‘রূপ–নারানের কূলে জেগে উঠিলাম।/ জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়।/ রক্তের অক্ষরে দেখিলাম আপনার রূপ-/ চিনিলাম আপনারে আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়।/ সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম–সে কখনো করে না বঞ্চনা।/ শেষ দেখা আমৃত্যুর দু:খের তপস্যা এ জীবন-/ সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে,/ মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ ক’রে দিতে ॥’ উল্লেখিত কথামালার মৌলিক নির্যাস যেন বঙ্গবন্ধুর অসামান্য জীবনচরিতকে পরিশুদ্ধ মহিমায় চিত্রিত করেছে। আজীবন অসত্য–অন্যায়–নিপীড়ন–নির্যাতন–বঞ্চনার কষাঘাতে জর্র্জরিত এক মহান নেতার বিশ্বজয় আদিগন্ত সূর্যের মতোই সত্যের কাঠিন্যে অত্যুজ্জ্বল।
১৯২০ সাল ১৭ মার্চ বিশ্বনন্দিত ক্ষণজন্মা চিরঞ্জীব মহাপুরুষ উপমহাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় জন্মদিন। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রক্তস্নাত এই পবিত্র স্বাধীন মাতৃভূমি। বাংলা নামক ধরিত্রীর জনপদে রোপিত হলো গোপিত সম্ভাবনার নিরঞ্জন দ্যোতক। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিমানস, আদর্শিক–রাজনৈতিক নেতৃত্বের গভীরে প্রোথিত ছিল বিশাল মহিমা ও মহানুভব চিন্তা–চেতনার নিরঞ্জন বিচয়ন। বঙ্গবন্ধুর সার্থকতা তিনি শুধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেননি, জাতি–রাষ্ট্রের অর্থবহ প্রতিষ্ঠার রূপকল্প বাস্তবায়নের পথ–নির্দেশনা নির্মাণ করেছেন। তাঁরই আলোকবর্তিকায় বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র জাতির আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে অদম্য অগ্রগতিতে অবিচল নিষ্ঠা–আন্তরিকতায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আকাশচুম্বী ঐতিহ্যিক সামাজিক–রাজনৈতিক অভিযাত্রায় (১৯৩৪–১৯৭৫) সপ্তম শ্রেণি থেকে প্রতিটি দিনক্ষণ জীবনপ্রবাহের এক একটি অধ্যায়ের নবতর সংস্করণ। ‘বেরিবেরি’ ও ‘গ্লুকোমা’ নামক হৃদ–চক্ষুরোগে আক্রান্ত বঙ্গবন্ধু শৈশবকাল থেকেই স্বদেশী আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে নেতাজী সুভাষ বসুর আদর্শিক চেতনায় প্রক্ষিপ্ত হলেন। গৃহ শিক্ষক কাজী আবদুল হামিদ এমএসসি মহোদয়ের সান্নিধ্যে গরিব শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাকল্পে ‘মুসলিম সেবা সমিতি’র কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হলেন এবং অকপটে সহপাঠীদের নিয়ে মুষ্টি ভিক্ষার চাল সংগ্রহ করতেন। ফুটবল, ভলিবল, হকি খেলায় পারদর্শিতা প্রদর্শনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয় খেলোয়াড়। পাশাপাশি প্রিয় পিতার মতোই আনন্দবাজার, বসুমতী, আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী ও সওগাত পত্রিকার নিয়মিত পাঠক ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে গোপালগঞ্জে বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা ও শ্রমমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী সাহেবের আগমনকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু নির্ভীক রাজনীতিকের উপচীয়মান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ঋদ্ধ হলেন। সূচনায় যেন জয় করলেন নিজেকে এবং ব্রতী হলেন দেশমাত্রিকার মুক্তির স্বপ্নে বিভোর আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপনে বৈদগ্ধ চারণ। মিঞা মুজিবুর রহমান রচিত ‘জাতির জনকের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা’ গ্রন্থে ১৯৭০ সাল থেকে ২০ বছর বাংলাদেশে বসবাসকারী জেমস জে নোভাক রচিত ‘ Bangladesh: Reflections on the Water’ পুস্তকের উদ্ধৃতি প্রণিধানযোগ্য – “শেখ মুজিব রাজনৈতিক পরিবেশে এক ধরনের তাৎক্ষণিতা নিয়ে আসেন। সূক্ষ কূটচাল অথবা খাপছাড়া পদক্ষেপ নিয়ে তিনি জনগণকে ক্লান্ত করতেন না। সরকারি পদের প্রতি তাঁর কোনো মোহ ছিল না। তাঁর উত্থানের সময় থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর দিনে তাঁকে গ্রেফতার করা পর্যন্ত সবাই জানত এবং বুঝত তিনি স্বাধীনতার পক্ষেই কথা বলেছেন।’ ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত প্রতিটি সাল বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসে অচ্ছেদ্য অধ্যায়ের সাক্ষ্য বহন করে। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান, রাজনৈতিক সংগ্রাম, ধার্মিক–অসাম্প্রদায়িক দল গঠনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’র পরিবর্তে শুধু ‘আওয়ামী লীগ’ নামকরণ, কোয়ালিশন সরকারের শিল্প–বাণিজ্য–শ্রম–দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ–এইড দপ্তরের মন্ত্রীত্ব গ্রহণ এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ, দীর্ঘ সময় কারাবরণ, স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ–সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ–সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি গঠন, ঐতিহাসিক ছয় দফা উপস্থাপন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি ও ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত, নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ৭ই মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতা ঘোষণা, বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে বিপ্লবী সরকার গঠন, নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদান ও দুই লক্ষ জননী–জায়া–কন্যার সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নে স্বাধীনতা অর্জনের একটি যুগান্তকারী পর্বের পরিসমাপ্তি ঘটে। শুরু হয় অর্থনৈতিক মুক্তির অর্থবহ স্বাধীনতা সংগ্রামের দ্বিতীয় পর্ব। বঙ্গবন্ধুর জীবন–সমাজ–রাষ্ট্র–শিক্ষা–উন্নয়ন দর্শনের ন্যায়ালয় ছিল বাংলার মাটি–মানুষের ন্যায্য সুদৃঢ়তা। হৃদয় নিঙড়ানো বাঙালি জাতিসত্তাই ছিল এর নয়নাভিরাম ভিত্তি।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বীয় নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে অগণিত বাঙালির অশ্রুসিক্ত জনসমাবেশে নতুন করে উচ্চারণ করলেন : “আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম, আমার মৃত্যু এসে থাকে যদি, আমি হাসতে হাসতে যাব। তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইব না এবং যাবার সময় বলে যাব, জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান। আজ আমি বাংলাদেশে ফিরে এসেছি। আমার ভাইদের কাছে, আমার মা’দের কাছে। আমার বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন। বাংলার মানুষ আজ আমার স্বাধীন।” আধুনিক চীনের জনক ‘সান ইয়াত সেন’ যেমন রাষ্ট্র ও জনকল্যাণে জাতীয়তা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের ত্রয়–নীতি (Three Principle of the People ) ধারণ করে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার চারস্তম্ভকে প্রতিষ্ঠিত করার নিরবচ্ছিন্ন–নিরলস কর্মযজ্ঞে নিজেকে নিবেদন করলেন।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকা প্রকাশ করে যে, ‘তাঁহার এই মুক্তি বাংলাদেশকে বাঁচার সুযোগ দিয়াছে। ইহার আগে দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানের কারাপ্রকোষ্ঠে অন্তরীণ থাকাকালে তাঁহার জীবন নাশের উপক্রম হইয়াছিল। প্রহসনমূলক বিচারের রায় অনুযায়ী তাঁহার ফাঁসি নিশ্চিত করার জন্য কবরও খনন করা হইয়াছিল। এই সময় তিনি বীরের ন্যায় বলিয়াছিলেন, আমার লাশটা বাংলার মানুষের কাছে পাঠিয়ে দিও। কোনো প্রলোভন ও ভয়–ভীতিই তাঁহাকে বাঙালির জনদাবি ও গণতান্ত্রিক আদর্শ হইতে বিচ্যুত করিতে পারে নাই।’
দেশবাসী সম্যক অবগত আছেন, ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতির পদে ইস্তফা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী রাষ্ট্রপতি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও তাঁর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চিরভাস্বর চেতনার মূলমন্ত্র ছিল শোষণমুক্ত জাতি–রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এরই আলোকে ১৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ অক্ষুণ্ন রেখে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ঠিক পরের দিন রমনা রেসকোর্স ময়দানকে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে নামাকরণের ঘোষণা এবং সরকারি আদেশে মদ, জুয়া, হাউজিসহ অনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করেন। ১৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের হাইর্কোঁ অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে হাইর্কোঁ গঠন করেন। দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ২১ জানুয়ারি ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেন। ২৪ জানুয়ারি পাক–সামরিক জান্তাদের সহযোগী হয়ে এদেশে যারা মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন মানবতা বিরোধী অপরাধকর্মে জড়িত বা দালালী করেছে, তাদের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন।
৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি মুক্তি ও মুজিব বাহিনীর সকল সদস্যবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর নিকট তাঁদের রক্ষিত অস্ত্রসমর্পণ করে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণের ঘোষণা দেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে বেতার ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘শোষণমুক্ত সোনার বাংলা কায়েমই আমাদের লক্ষ্য’। বঙ্গবন্ধুর ৫৩তম জন্মদিন অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনন্দিত গণতন্ত্রের ভারতকর্তা প্রয়াত শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় আসেন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২৫ বছরের জন্য শান্তি, সহযোগিতা ও মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২৬ মার্চ দেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন এবং সকল ব্যাংক, বীমা ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা প্রদত্ত হয়। ৮ মে সারা দেশে কবিগুরুর জন্মদিন যথাযথ মর্যাদায় পালন এবং ২৪ মে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকে ঢাকায় নিয়ে এসে বঙ্গবন্ধু তাঁর পরিবারকে একটি ভবন ও রাষ্ট্রীয় ভাতা মঞ্জুর করে ২৫ মে এই বিদ্রোহ কবির উপস্থিতিতে অত্যন্ত আড়ম্বর পরিবেশে তাঁর জন্মদিন পালন করেন। সম্বোধি অনুধাবন এবং ইতিহাস অধ্যয়নে বুদ্ধিদীপ্ত অন্তর্দৃষ্টি বঙ্গবন্ধুকে করেছে অপরিসীম প্রোৎসাহিত। এরই ভিত্তিতে দীর্ঘ সময় জন–গণমন বিজয়ী বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালিকে একতাবদ্ধ করেননি, স্বাপ্নিক স্বদেশের স্বাধীন ভূখন্ড ও লালসবুজের মানচিত্র অর্জনে নির্ব্যাজ চিত্রকরের অনবদ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ধর্ম–বর্ণ, উচ্চ–মধ্যবিত্ত–দরিদ্র, নারী–পুরুষ–অঞ্চল নির্বিশেষে বিভাজিত জনগোষ্ঠীর খন্ডিত বিরোধ–বিচ্ছেদ নির্বাণে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান আজ বিশ্বখ্যাত। বঙ্গবন্ধুর নির্বিকল্প নতুন আদর্শের নবতর নিলয় হয়েছে বাঙালির আজন্ম লালিত গন্তব্য। সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হকের ভাষায়, ‘যেখানে ঘুমিয়ে আছো, শুয়ে থাকো বাঙালির মহান জনক তোমার সৌরভ দাও, দাও শুধু প্রিয়কন্ঠ শৌর্য আর অমিত সাহস, টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামগুলো তোমার সাহস নেবে, নেবে ফের বিপ্লবের দুরন্ত প্রেরণা।’ বিশ্বের মহাননেতা বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকীর জ্যোতির্ময়–মাঙ্গলিক–নান্দনিক শুভক্ষণে বর্তমানে দেশে ছদ্মবেশী–বর্ণচোরাদের কদর্য আবরণে আচ্ছাদিত সকল অশুভ অন্ধকারের ধূসর কুয়াশা তিরোধানে জাতি নবতর প্রেরণা ও প্রণোদনায় উদ্ভাসিত হোক– এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়