বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার আশা হৃদয়ের

স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার , ২৭ মে, ২০২৪ at ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ক্রিকেট এখনো বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তবে এই দলে একজন ক্রিকেটার রয়েছেন যিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন। তিনি তাওহিদ হৃদয়। ক্রিকেটের মূল মঞ্চে পা রাখার আগেই দারুণ এক অর্জন নামের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। তবে ওই সাফল্য এখন পেছনে পড়ে গেছে বেশ। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এখনও বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেনি। টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে ওই স্বপ্নপূরণের কথাই শুনিয়ে গেছেন হৃদয়। এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার বলছেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে চান তারা। বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে তিনি বলেন আইসিসির ইভেন্ট জেতাটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যখন আমরা আইসিসি ইভেন্ট জিতবো, তখন আমাদের ওভাবেই মূল্যায়ন করবে। যেটা এখন হয়ত অস্ট্রেলিয়া বা বড় বড় প্লেয়ারদের মূল্যায়ন করে। আইসিসি ইভেন্টে যখন আমরা ২১টা ট্রফি জিতবো তখন আমাদের মানসিক স্বস্তি, আত্মবিশ্বাস এবং পরবর্তী প্রজন্ম যারা আসবে তাদের সবার মধ্যেও ওইভাবে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। এই জিনিসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে আমাদের জন্য। শুধু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে বললে হবে না। আমাদের যে প্রক্রিয়াগুলো আছে, ওগুলোর ব্যবহার করতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমরা সবাই যদি একসঙ্গে চাই এবং প্রতিদিন একটু করে উন্নতি করতে থাকি তাহলে হয়তো একদিন আমরা বিশ্বকাপ জিতব। হৃদয়ের জন্য অবশ্য এটিই প্রথম বিশ্বকাপ নয়। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে মাত্র ১৬৪ রান করেছিলেন তিনি। তার পারফরম্যান্সে হতাশ নিজেও। এর কারণও অবশ্য ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। এবার দলের চাওয়া অনুযায়ী খেলার জন্য তৈরি বলেও জানিয়েছেন হৃদয়। তিনি বলেন আমি ওপরের দিকে ব্যাট করে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বকাপের সময় আমার ব্যাটিং পজিশন নিচে নেমে গিয়েছিল। ৬৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। এই পজিশনে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। তাই সব ম্যাচে প্রত্যাশা মেটাতে পারিনি। এই পজিশনটা এমন যেখানে প্রতিদিন রান করা সম্ভব না। তবে এটা ঠিক যে, দল যেখানে প্রয়োজন মনে করবে, আমি সেখানেই খেলব। দলের যদি প্রয়োজন থাকে তাহলে ছক্কা মারার চেষ্টা করব। আবার দলের যদি প্রয়োজন হয় তবে আমি ৬ বলই ডট খেলব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদলের এমন পারফরম্যান্স কেউ প্রত্যাশা করেনি
পরবর্তী নিবন্ধঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে