গত ১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজাদীর ১ম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ‘নগরীর ৩০ স্পটে ভয়াবহ শব্দ দূষণ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের মতে শুধু শব্দ দূষণ নয়, বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, নদী দূষণ, পরিবেশ দূষণ নানা সমস্যায় আক্রান্ত চট্টগ্রামসহ সারাদেশ। আইন বা প্রতিরোধের কোন কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় বাংলাদেশ আজ দূষণে ও বিশ্বের সকল দেশের শীর্ষে অবস্থান করছে। মাত্রাতিরিক্ত শব্দের নীরব অত্যাচারে জনজীবনে উঠছে নাভিশ্বাস।
নগরবাসীর হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, শিরপীড়া, অনিদ্রা, বদহজম ও পেপটিক আলসারে আক্রান্ত হবার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত এ দূষণ। শব্দ দূষণে শিশুদের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও বুদ্ধিমত্তা বাধাগ্রস্ত করে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটা মারাত্মক ক্ষতিকর। বাংলাদেশের মতো একটি অনুন্নত দেশে বিভিন্ন দূষণ আজ বিজ্ঞজনদের কাছে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে বিভিন্ন দূষণ মারাত্মক সমস্যা হিসেবে দেখা দিলেও জনগণের ও কর্তৃপক্ষের কারো মাথা ব্যথা নেই। দূষণ প্রতিরোধের যে আইন আছে তাও মেনে চলা হয় না। এই আইনের প্রয়োগ হয় না বললেই চলে।
এম. এ গফুর, বলুয়ারদীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়, কোরবাণীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।