নগরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভিয়েতনামের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল রবিবার টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূত এইচ.ই মি. ফাম ভিয়েত চিয়েন সৌজন্য সাক্ষাতে এলে নিজ আগ্রহের কথা তুলে ধরেন মেয়র। এ সময় এইচ.ই মি. ফাম ভিয়েত চিয়েন মেয়রের প্রত্যাশার বাস্তবায়নে ভিয়েতনাম সরকারকে অবগত করবেন বলে জানান। মেয়র ভিয়েতনাম রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চসিকও সাগর সংলগ্ন এলাকায় ওশান এমিউজমেন্ট পার্ক এবং সরকারের উদ্যোগে স্বাধীনতার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যা চট্টগ্রামসহ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে উজ্জ্বল করবে। মেয়র ওশান এমিউজমেন্ট পার্ক নির্মাণ প্রকল্পে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে বলেন, ভিয়েতনাম এগিয়ে আসলে পর্যটন ক্ষেত্রে বিশাল খাত তৈরি হবে এবং উভয়ই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবে। তখন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলেন, ভিয়েতনাম সব সময় উদ্ভাবনী বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সাহিত্য সবকিছুতে সমৃদ্ধ। আজকের এই চট্টগ্রাম সারা বিশ্বকে অনেকাংশে প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ বর্তমান সরকার যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে বিশেষ করে বে-টার্মিনাল, গভীর সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলীর তলদেশে ট্যানেল, মিয়ানমার হয়ে চীনের কুম্বিং শহর পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক বিশেষ জোন এগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বিশ্ব অর্থনীতির একটি হাব হিসেবে পরিণত হবে- এতে কোন সন্দেহ নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ইনফরমেশন এন্ড সার্পোট সেন্টারের জেনারেল ডাইরেক্টর ট্রং ডু ডেপুটি জেনারেল ডাইরেক্টর মিস. এলিজা, সন হা মিনারেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানির ট্রান দিন থানাহ, বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো. মঞ্জুর কাদের, সৈয়দ এম. রহমান, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ ও প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক।