বিধিনিষেধ না মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হবে। সড়কে ভাড়ায় চালিত যানবাহনের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। এছাড়া বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব তদারকিতে এখন থেকে ৭ জুলাই (আজ) পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের ১৪ জন ও বিআরটিএর দুজনসহ মোট ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালাবেন। সাথে থাকবে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় করোনা সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মাস্ক পরিধানসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনার সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় ৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছে ৬৬২ জন। সপ্তাহব্যাপী চলমান কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা মানুষকে ঘরে রাখতে চাই। কিন্তু করোনা সংক্রমণকে ভয় না করে বিভিন্ন অজুহাতে ও বিনা প্রয়োজনে তারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খোলা রাখছেন। সাঁড়াশি যৌথ অভিযানে তাদের অজুহাত দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ১ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। ৫ জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর টাকা উত্তোলন ও অন্যান্য মিথ্যা অজুহাতে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে। মানুষ জড়ো হওয়ার কারণে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬টি গাড়িতে মাইক বসিয়ে নগরীর অলিগলিতে প্রচার-প্রচারণা চলছে। করোনা প্রতিরোধে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইকিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে জানান দেওয়া হবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হলে পথচারীকেও জরিমানা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোছা. সুমনী আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ স ম জামশেদ খোন্দকার, র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্য।