বিনাজুরি খালের বিকল্প সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | সোমবার , ২১ জুন, ২০২১ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

দুই দিনের ভারী বর্ষণে গহিরা-ফটিকছড়ি সড়কের বিনাজুরি খালের বিকল্প সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর আগের সপ্তাহেও ধর্মপুর-বখতপুর সংযোগস্থলে কুমারী ছড়া খালের উপর নির্মিত ব্রিজের বিকল্প সড়কও ভারী বর্ষণে ভেঙে যায়। তিনটি ব্রিজ নির্মাণের ধীর গতির কারণে ভারী বর্ষণে ভেঙে গেছে বিকল্প সড়কগুলো। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
সূত্র জানায়, গহিরা-ফটিকছড়ি সড়কের উন্নয়ন কাজ বিগত দুই বছরেও শেষ হয়নি। ভাঙা সড়কে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তর চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা হতে ফটিকছড়ি সদর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কটি রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-ঢাকা সড়ক এবং মাইজভান্ডার দরবার শরীফ যাতায়াতের বিকল্প সড়ক হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে সড়ক ও জনপদ বিভাগ বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কটিতে ৩৮টি ছোট বড় ব্রিজ, কালভার্ট, ইউ ড্রেন, গাইড ওয়াল, হাট বাজার এলাকায় সিসি ঢালাইসহ সড়কটি ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুটে উন্নীতকরণের জন্য ১০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। দীর্ঘ দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও সড়কটির সিংহভাগ কাজ শেষ হয়নি। ১৩/১৪ টি কালভার্টের কাজও এখনো শেষ হয়নি। ৬ ফুট সড়ক উন্নয়নের জন্য অনেক স্থানে মেকাডম হয়নি। পূর্বের কার্পেটিং নষ্ট হয়ে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই উপজেলার অন্তত ৪ লক্ষ মানুষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কথা জানান।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, গহিরা-ফটিকছড়ি সড়কের বিকল্প সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করতে এবং কাজের গতি বাড়াতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। নয়তো তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গার ঘরের মাটির নিচে দুই দেশের মুদ্রা ও স্বর্ণ