বিনাখরচে ইডিইউতে পড়ছে তিন শিক্ষার্থী

নারীদের উচ্চশিক্ষার জন্য শতভাগ বৃত্তি

| মঙ্গলবার , ৮ মার্চ, ২০২২ at ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ

করোনার প্রকোপে বাবার ছোট দোকানটা বন্ধ হয়ে যায় আরিফা আক্তার সামান্থার। একইরকম সংকটে সানজিদা আলম ও সামিহা আফরোজও। করোনায় বেসরকারি চাকুরে পিতার আয়ে বড়সড় আঘাত তাদের অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি করে। এ সময় পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা জানতে পারেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি অসচ্ছল কিন্তু সম্ভাবনাময় এমন নারীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণে দিচ্ছে বিশেষ বৃত্তি। ‘উইম্যান এম্পাওয়ারমেন্ট এন্ড লিডারশিপ ফান্ড’ নামের এ বৃত্তির অধীনে নারীরা বিনাখরচে ইডিইউতে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।এদের মধ্যে সামান্থা পড়ছেন বিবিএ নিয়ে। সানজিদা ও সামিহা পড়ছেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। তাদের চার বছরের স্নাতক পর্যায়ের পড়ালেখার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নানারকম বৃত্তি ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় শিক্ষাপরিবেশ ও সমাজের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করে চলেছে ইডিইউ, জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের, বিশেষত সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদের সবসময়ই আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আসছি আমরা। আনুষ্ঠানিকভাবে ফান্ড তৈরি করে বিষয়টিকে এবারই জনসমক্ষে আনা হলো। যারা কখনো ইডিইউতে পড়ার কথা ভাবতেও পারেনি, তারাও এই বৃত্তির ফলে এখানে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
তবে এক্ষেত্রে নারীদের শুধু আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলেই হবে না, একইসাথে ভালো ফল অর্জন, সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও সামাজিক পরিসরে নেতৃত্বদানমূলক ভূমিকাও রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রতিবছর আবেদনের ভিত্তিতে ১০জন শিক্ষার্থীকে ফান্ডের আওতায় আনা হবে। এ শিক্ষার্থীদের চার বছরের গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামে মোট ৭৫ লক্ষ টাকার আনুমানিক শিক্ষাব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে। সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় গৃহীত এ উদ্যোগে সামর্থবান সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশান্তি আলোচনা কি শান্তি ফেরাবে?
পরবর্তী নিবন্ধনারী দিবসে অনেস্টের ওয়ান ডে সিইও