বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সিএনজি চালককে হত্যার অভিযোগ

আনোয়ারা প্রতিনিধি | শনিবার , ২১ মে, ২০২২ at ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় ‘বিরোধপূর্ণ’ জমির দেয়ালে প্রতিপক্ষের লাগানো বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আবদুল খালেক (৩০) নামের এক সিএনজি টেক্সিচালকের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড করেছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটায় উপজেলার জুইঁদন্ডি ইউনিয়নের খুরুস্কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত খালেক স্থানীয় মৃত হাসান মুরাদের পুত্র। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার জুইঁদন্ডি ইউনিয়নের খুরুস্কুল এলাকায় চলাচলের রাস্তা নিয়ে স্থানীয় মঞ্জুরা বেগমের পরিবারের সাথে নিহত আবদুল খালেকের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় আবদুল খালেক নিজের সিএনজি টেঙিটি বন্ধ করে বের হয়ে যাওয়ার পথে ‘বিরোধপূর্ণ’ সীমানা দেয়ালে লাগানো বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার জেরে মারামারির ঘটনায় রাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আবদুল খালেককে উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মো. সাজ্জাদ (২৩), মো. সেলিম (২৭), সামসুল আলম (৫০), মঞ্জুরা বেগম (৫০), আয়শা বেগম (৩০), শারমিন আক্তার (২৪), হ্যাপী আক্তার (১৯), গিয়াস উদ্দিন (২৮), মিজান (২৫) ও মো. আলমকে (৩০) আটক করে।
নিহত খালেকের ভাই মো. ফারুক অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইকে প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের তার লাগিয়ে ও মারধর করে হত্যা করেছে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, বসতভিটা বিরোধের জের ধরে খুরস্কুল এলাকায় আবদুল খালেক নামে এক ব্যক্তি বিরোধপূর্ণ ভূমির পাকা দেওয়ালে লাগানো বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা গেছেন। এ মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ জনকে আটক করে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো মামলা হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈশ্বিক সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রীর চার প্রস্তাব
পরবর্তী নিবন্ধআরো এক হাজার শয্যার স্বপ্ন