বিদ্যুতের লোডশেডিং ও অটো রিকশা

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ | বুধবার , ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

দেশের উন্নয়নের কালো থাবা বৈশ্বিক চাপ। দ্রব্যমূল্য ও বিদ্যুৎ এর সঙ্কটের প্রভাবে সুন্দর সময়কে ধারনের ক্রিয়াও অবরুদ্ধ। আমরা ভুলে যায় দৃশ্যমান উন্নয়ন। আমাদের ঘাড়ে চাপা ভূতটা নাড়া দেয়। ঈর্ষা ও অহংবোধে সত্যকে সত্য না বলে কুৎসা রটায়। যা অনুপ্রেরণার প্রাণে অসম চপটোঘাত। ফলে দৃশ্যমান উন্নযনের পথে ঘাটতি ঘুচানো যাবে কি? নানা প্রশ্নে বিদ্ধ হয়। সঙ্কট উত্তরণের সঠিক সংজ্ঞা কী?

লোডশেডিং এর জ্বালাতন বেসামাল। গরমের উত্তাপে ও অন্ধকারের কালো প্রকোপে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এদিকে প্রশাসনের অনিয়ম দেখে বাড়ে আরো অশান্তি। লোডশেডিং এর সরকারি ঘোষণা আছে বলেই জনমনে নিরুত্তাপ ভাব। তবে স্বীকার করতে হয় সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের চাপে লোডশেডিং এর মাত্রাধিক প্রভাব কিছুটা কমেছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এদিক দিয়ে জনমনের ভাব বুঝে কাজ করছেন।

বলাবাহুল্য, জ্বালানী সঙ্কটে ঘূর্ণায়মান বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক ক্রিয়াই কারেন্ট চালিত রিকশা ও টেম্পোর উপর কেন সুনির্দিষ্টভাবে চাপ প্রয়োগ করে চড়াও হচ্ছে না? আপনি যেখানে যাবেন অলিগলি পথে এদের নিত্য বিচরণ। বলার কেউ নেই। যার যার এলাকার প্রভাব প্রতিপত্তি কিছু নোংরা প্রকৃতির মানুষ ও থানা মাসহারা নিয়ে বিদ্যুৎ দুর্যোগ কে আরো আরো সংক্রমিত করছেন। অথচ প্রশাসন চাইলে লোডশেডিং কমাতে যথার্থ ভূমিকার কাণ্ডারী হতে পারেন। টু পাইস আয়ের এমন সুযোগ কে হাতছাড়া করতে চায়?

জনগণের বিশ্বাস ও বিদ্যুতের হুমকি থেকে রক্ষা পেতে বিদ্যুৎ চালিত রিকসা ও টেম্পো বন্ধ করার ঘোষণা আসুক। এতে অলিখিত দুর্ঘটনায় কমবে অনেকাংশে। আমাদেরও বুঝতে হবে, এইসব চালিত যান অধিক কারেন্ট চুষে নেবার কারণে আমাদের দিনরাত বিদ্যুহীন থাকতে হয়। এসব চালিত যানের বিভিন্ন মেশিনারী পার্টস ইমপোর্ট করার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হোক। কঠোর নিযমের ধ্বজায় বন্ধ করা হোক এমন চালিত যান। দেশের মানুষ ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ পাক। আমরা রক্ষা পায় লোডশেডিং এর কবল থেকে। দেশের বিভিন্ন বিদ্যুতায়ন অফিস ও থানাগুলো ক্রমান্বয়ে সক্রিয় হলে হয়ত সুফল পাওয়া যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিবিসির প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশের সানজিদা
পরবর্তী নিবন্ধবিজয়ের মাস ডিসেম্বর