ছাত্র–গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পলাতক থেকে বিদেশে পালানোর সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাইফুল ইসলাম সুমন নামের এক ব্যক্তি। আনোয়ারা–পটিয়া এলাকার প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত সাইফুল ইসলাম সুমন কর্ণফুলী নদীর একটি ঘাটও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দখল করে রেখেছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। গত রোববার রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টাকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, সাইফুল ইসলাম সুমন পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ–সভাপতি ইদ্রিস মিয়ার ভাইপো। সাইফুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে নগরীর সদরঘাটের মাঝির ঘাটের আসাম বেঙ্গল ঘাট দখল করে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসলিমা আকতার সাংবাদিকদের বলেন, রোববার রাতে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ সাইফুল ইসলাম সুমনকে আটক করে। পরে বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান জানিয়েছেন, সাইফুল ইসলাম সুমনের নামে পাচঁলাইশ থানায় মামলা রয়েছে। এছাড়াও চান্দগাঁও ও হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। পাঁচলাইশ থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হবে বলেও মোহাম্মদ সোলাইমান জানান।