বিজয় টিভি দুর্নীতি মামলা ফের চালু

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত বিজয় টিভি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলাটি পুনরায় চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় জজ আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রায় ১৪ বছর পর তিন আসামির মধ্যে শুধুমাত্র সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোখতার আলমের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পুনরায় মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় স্পেশাল জজ আবদুল মজিদ মুন্সীর আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য ছিল।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বিজয় টিভির কার্যক্রম শুরু করেন। এ নিয়ে ২০০৭ সালে দুদকের উপ-পরিচালক আবু আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোখতার আলম।
আদালত সূত্রে জানিয়েছে, ২০০৮ সালে মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিলের পর সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী যৌথভাবে মামলাটি বাতিলের আবেদন করেন। অন্যদিকে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোখতার আলমও মামলাটি বাতিলের জন্য উচ্চ আদালতে পৃথক আবেদন করেন। তাদের পিটিশন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত মামলাটি বাতিল করে দেয়। পরে মোখতার আলমের পিটিশনে মামলা বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করলে দুদকের আপীল আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। পরে দুদকের দায়ের করা আপীল আদেশের বিরুদ্ধে মোখতার আলম রিভিউ পিটিশন দাখিল করে। পরে মোখতার আলমের রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারিক আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আদেশের অনুবলে বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এক কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা নিয়ে বিজয় টিভি চালুর বিষয়ে দুদকের দায়েরকৃত মামলায় সাবেক মেয়র মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোখতার আলমকে আসামি করা হয়। উচ্চ আদালত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী দায়েককৃত পিটিশনে তাদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম বাতিল করে দেয়। কিন্তু মোখতার আলমের দায়েরকৃত সর্বশেষ রিভিউ পিটিশন খারিজ হয়ে গেলে তার রিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৯৯৯ এ ফোন করে রক্ষা পেলো দুই তরুণী
পরবর্তী নিবন্ধটানা চার দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ থেকে