বিক্রির জন্য দুই শিশু চুরির মামলায় নারীর যাবজ্জীবন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চমেক হাসপাতাল থেকে বিক্রির জন্য শিশু চুরির চাঞ্চল্যকর মামলায় দিপালী দাস নামের নারী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়েছে তার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৬(২) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দিপালী দাসকে এ সাজা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর
আসামি উজ্জল দাস খালাস পেয়েছেন। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন। ঘটনার সাড়ে ১৪ বছর পর স্পর্শকাতর এ মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম।
রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন উল্লেখ করে তিনি আজাদীকে বলেন, ঘটনার পর পরই দিপালী দাস ও উজ্জল দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু সম্প্রতি তাদের ফের কারাগারে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (গতকাল) রায় ঘোষণার সময় দুইজনকে কারাগার থেকে আদালত কক্ষে হাজির করা হয়।
দিপালী দাস বাসাবাড়িতে আয়ার কাজ করতেন। ঘটনার দিন তিনি ৩ মাসের একজন ও দেড় মাসের অপর একজন শিশুকে চমেক হাসপাতালের নিচ তলার দুই নম্বর ওয়ার্ড থেকে চুরি করে বাকলিয়া থানাধীন চান মিয়া মুন্সী লেনে নিয়ে যান। সেখানে রোমানা ইসলাম নামের অপর এক নারী সন্দেহ হলে দিপালী দাস ও উজ্জল দাসকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই শিশুকে উদ্ধার করে এবং দিপালী দাস ও উজ্জল দাসকে গ্রেপ্তার করে -যোগ করেন আইনজীবী খন্দকার আরিফুল আলম।
আদালতসূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ৩ জুলাই চাঞ্চল্যকর ডাবল শিশু চুরির ঘটনাটি ঘটে। বাকলিয়া থানার তৎকালীন এএসআই মো. আশরাফ আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান ঘটনার তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করেন। কয়েক মাস পর অর্থাৎ একই বছরের ৭ অক্টোবর এ চার্জশিট আমলে নিয়ে দিপালী দাস ও উজ্জল দাসের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম এবং যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল রায় ঘোষণা হয়। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আদালত মামলার বাদী এএসআই আশরাফ আলী, ঘটনাস্থল এলাকার মহল্লা কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইলিয়াস ও সেক্রেটারি মো. আবুল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়ক নিরাপত্তায় কার্যক্রম শুরু করেছে চসিক
পরবর্তী নিবন্ধঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে ৪ মাসের শিশু অপহরণ