বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ছোট ভাই বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

অর্থ আত্মসাৎ মামলা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শনিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ছোট ভাই মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী (৫২)। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে দুদক। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে রাতেই সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা জানান, আমজাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলাসহ ১৫টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। এ সব মামলায় তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছিল। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি গোপন খবরের মাধ্যমে জানতে পেরে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আমজাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই পারিবারিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের নামে এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় আমজাদ ছাড়াও তাঁর ভাই বিএনপির নেতা আসলাম চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও জামিলা নাজনিল মাওলাকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া হালিশহরের সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে ১৪৮ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগের ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর হালিশহর থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করে দুদক। তারা অর্থ আত্মসাৎসহ ১৫টি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। গ্রেপ্তার আমজাদ হোসেন চৌধুরীসহ অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলায় ওয়ারেন্ট জারি করা ছিল।
সুমন বণিক আরও জানান, মামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন আমজাদ হোসেন চৌধুরী। তাঁকে গ্রেপ্তারে ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মানি লন্ডারিং শাখা দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিমানবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে চিঠি দেয়।
বৃহস্পতিবার রাতে দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁকে এ সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রশ্নের মুখে শিক্ষাবোর্ডের ভাবমূর্তি
পরবর্তী নিবন্ধজরুরি কথা আছে, দরজা খোলেন