চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি এদেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করলেও এদেশ পাকিস্তান হয়নি, হবেও না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার আরাধ্যের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল সকালে নগরীর কাজির দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দেশি ও আন্তর্জাতিক শক্তির প্রত্যক্ষ যোগসাজসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশিলব জিয়াউর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি। তিনি আরো বলেন, জামায়াত ও বিএনপি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। এছাড়াও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলো পালন করেন না এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ছিল এমন একটি দল সিপিবিও জাতীয় শোক দিবস পালন করে না। এতে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে প্রগতিবাদী ও দক্ষিণপন্থী তথা ডান–বামের মিশ্রণ যুক্ত হয়েছে। পাকিস্তানপন্থী বিএনপি–জামায়াতের স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য কয়েক হাজার বছর আগে। এই অঞ্চল একসময় পরিচিত ছিল বঙ্গজোট পুন্ড্য বা হরিকেল নামে। বাংলা নামটি পাওয়া যায় মোগল সাম্র্যজ্যের আকবর শাসনামলে তাই প্রধানমন্ত্রী আবুল ফজলে আকবর নামায় বাংলা নামটি খুঁজে পাওয়া যায়। সেই বাংলাকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা এই মহান অর্জন ধুলিস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল তাদের পরিণতি ও ধ্বংস অনিবার্য। মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, জালাল উদ্দীন ইকবাল, দিদারুল আলম চৌধুরী, মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ, আলহাজ্ব ফিরোজ আহমেদ, কাজী আলতাফ হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, সুলতান নাসির উদ্দীন, মো. হাসান, লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য, স্বপন কুমার মজুমদার, হাজী আবুল হোসেন বাবুল, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, সামশুল হুদা, মো. হোসেন বাদশা, বাবু অজয় চৌধুরী, জাহাঙ্গীর মোস্তফা, মো. শাহজাহান, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগের দিনব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন শেষে বড়পোল চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও কালো ব্যাচ ধারণের মাধ্যমে দিনটির কর্মসূচির সূচনা হয়। পরে সকাল ১০টায় কাজির দেউড়ীস্থ আইসিসি কনভেশন হলে খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল শেষে আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ১৫ আগস্টে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে গরীবুল্লাহ শাহ, বদরপাতি, মিসকিনশাহ ও বদনাশাহ মাজারে এতিম ও দুস্থদের মাঝে তবরুক বিতরণ করা হয়।