প্রচারণার শেষ দিন গতকাল সোমবার নগরের জামালখান, এনায়েত বাজার ও আলকরণ ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে করেন পথসভা। কুশল বিনিময় করেন সাধারণ মানুষের সাথে। ভোট চান ধানের শীষ প্রতীকে। দল সমর্থিত কাউন্সিলরদেরও বিজয়ী করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দেশকে গণতন্ত্রের ধারায় নিয়ে যেতে চাইলে ভয় উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে হবে।’
ডা. শাহাদাত গণসংযোগ শুরু করেন নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে। পরে পুরাতন বিমান অফিস রোড, আসকার দিঘীর পাড়, হেমসেন লেইন, মোমিন রোড, বৌদ্ধমন্দির, এনায়েত বাজার, তিন পুলের মাথা, আমতল, নিউ মার্কেট মোড়, স্টেশন রোড, বিআরটিসি মোড়, বাটালি রোড, লাভলেইন ও কাজীর দেউড়ি হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয় গণসংযোগ।
পথসভায় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের হারাবার কিছু নেই। মামলা-হামলা, গুম-খুন গত ১৪ বছর ধরে আমরা মোকাবেলা করে আসছি। শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আমাদের ভোটকেন্দ্রে থাকতে হবে। মানুষের রায় যাতে কেউ ছিনতাই করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাস রুখে দাঁড়াতে হবে। ভোটারদের অনুরোধ করব, আপনারা সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে আসুন। বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী আপনাদের পাশে আছে। আপনাদের রক্ষায় নেতাকর্মীরা বুক পেতে দেবে। তিনি বলেন, প্রচারণায় আমি যে এলাকায় গিয়েছি, বিএনপির প্রতি, ধানের শীষের প্রতি সাধারণ মানুষের জোয়ার দেখেছি। সেই জোয়ার দেখে আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী-এমপিদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
ডা. শাহাদাত বলেন, বর্তমানে ভোটের পরিবেশ অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তারা আদৌ ভোট দিতে পারবে কি না। নির্বাচনকে বানচালের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনরায় মানতে বিএনপি প্রস্তুত। ভোটের মাধ্যমে যে রায়ই আসুক বিএনপি স্বাগত জানাবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষে গণসমর্থন-গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে ভোট কেড়ে চেষ্টা করলে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জনরায় পাল্টানোর চেষ্টা করলে চট্টগ্রামের জনগণ মেনে নেবে না। চট্টগ্রামবাসী আওয়ামী লীগের এ অগণতান্ত্রিক আচরণের কঠোর জবাব দেবে।
গণসংযোগে অংশ নেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক একরামুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রিয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা কাজী বেলাল, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, সিহাব উদ্দীন মোবিন, জাকির হোসেন, আলকরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী দিদারুর রহমান লাভু, জামাল খান ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবু মহসিন চৌধুরী, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আরজুন নাহার মান্না, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, মুজিবর রহমান চেয়ারম্যান, আবদুল বাতেন, সালাউদ্দীন লাতু, আবু আবু আহমেদ চৌধুরী, কাজী শাহজান, আলী আব্বাস খান, তৌহিদুস সালাম নিশাদ, জসিম মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান, মো. সেলিম, জমির উদ্দীন নাহিদ, মো. সেলিম, দেলোয়ার হোসেন, দিদারুল আলম, আবদুল জলিল, মো. পেয়ারু, আনোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দীন, ইদ্রিস বাবুল, আবদুল্লাহ আল মামুন, আকবর হোসেন, এ এফ রুমি, খলিলুর রহমান, সৈয়দ সাফোয়ান আলী, মো. জাহেদ, মো. জহির।